ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় নেতা তৈরির কারখানা। ডাকসুর মাধ্যমে যে নেতা হবে সে দেশের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। আমি ডাকসুর ভিপি না হলে নেতা হতাম না।
শুক্রবার গণঅভ্যূত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে এত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গণঅভ্যূত্থানের ৫০ বছর স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর হলেও ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনের পরিবেশও তৈরি হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। আর যারা ভিপি হবে তারা পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এজন্য শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত আসাদ আমার হাতের ওপর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তিনি ছিলেন গণ-আন্দোলনের পথিকৃৎ। আমি একজন শহীদের শেষ নিঃশ্বাস শুনেছি। আমি তখন চিৎকার বলেছি, আসাদ তুমি আর আসবে না। আমি তোমার রক্ত ছুঁয়ে শপথ করছি তোমার রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ। সভাপতিত্ব করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে রাজনীতি করেছেন আমরা যদি সেটা আমাদের ভেতর ধারণ করতে পারি তাহলে আমাদের দেশ আরও সামনে এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি আমরা সকলে মিলে একটি পরিবার। আমরা যদি মিলেমিশে একতাবদ্ধ হতে পারি তাহলে এই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হবে।
সনজিত বলেন চন্দ্র দাস বলেন, এমন একটি ডাকসু নির্বাচন চাই যার মাধ্যমে সত্যিকারের ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন