বরিশাল সদর উপজেলার সিংহেরকাঠী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র জেহাদ হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে স্কুলের সামনের সড়কে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন পালন করেন।
আহত বর্তমানে জেহাদ শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে এ ঘটনায় জড়িত টুঙ্গিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিংহেরকাঠী বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দীপংকর দাস বলেন, গত বৃহস্পতিবার নরকাঠী স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালে তার বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ললিপপ সাধে এবং কটূক্তি করে বখাটেরা। এতে জেহাদ বাধা দিলে তার সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বখাটেরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জেহাদকে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলের সামনের সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
টুঙ্গিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান জানান, সিংহেরকাঠীতে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় জেহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় গত শুক্রবার স্কুলে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে স্কুলের শিক্ষক ছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সভায় ওই হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত টুঙ্গিবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ইমরান, আলামিন ও জাহিদুলকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
মেট্রোপলিটনের বন্দর থানা সূত্র জানায়, গত শুক্রবার মামলার প্রধান আসামি ইমরানকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাহারহাট এলাকায় তার বাড়ির পেছন থেকে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। একই সময় এই মামলার অপর আসামি বাহাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা হায়দার বলেন, গ্রেফতার চার আসামিকে উদ্ধারকৃত ছুরিসহ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন