পারিবারিক কলহের জের ধরেই গাজীপুরে শ্রমিক রফিকুল ইসলামকে হত্যার পর ছয় টুকরো করে স্ত্রী জীবন্নাহার বেগম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেন জেলা পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার সামসুন্নাহার আরও বলেন, শ্বাসরোধে হত্যার পর রফিকুলের লাশ ঘরের ওয়্যারড্রোবে লুকিয়ে রাখে জীবন্নাহার। পরে লাশের পরিচয় গোপন করতেই বটি দিয়ে লাশটি ছয় টুকরা করে সে।
বেতনের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল বলে জানায় পুলিশ। গতকাল শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা এলাকার একটি বাঁশবাগান থেকে রফিকুলের বস্তাবন্দি ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রফিকুলের স্ত্রী জীবন্নাহারকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে বলেন, ‘রফিকুল ও জীবন্নাহার গিলারচালা এলাকায় আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। রফিকুল ওই এলাকার ‘হাউ আর ইউ’ নামে একটি টেক্সটাইল কারখানায় লোডার পদে আর জীবন্নাহার একই এলাকায় মেঘনা নিট কম্পোজিট কারখানায় সুয়িং অপারেটর।
তিনি বলেন, রফিকুল বেতন পেতেন সাত হাজার টাকা আর জীবন্নাহারের বেতন ১৩ হাজার টাকা। স্বামী তার স্ত্রীর বেতনের টাকা তার কাছে দিতে বলতেন। কিন্তু জীবন্নাহার তার বেতনের টাকা তার মায়ের কাছে রাখেন। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর প্রায়ই কলহ বাঁধতো।’
জীবন্নাহারের উপস্থিতিতে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রীকে থাপ্পড় মেরে স্বামী খাটে শুয়ে থাকেন। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই জীবন্নাহার ইট দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করলে তিনি খাট থেকে নিচে পড়ে যান। জীবন্নাহার আরও আঘাত করলে রফিকুল অচেতন হয়ে পড়েন।
এই দম্পতির মারিয়া আক্তার রোজা নামে চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/২৬ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত