বাংলাদেশে কেমিক্যাল ব্যবহারের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। বেশি বেশি সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গণ সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে। যার মাধ্যমে মানুষকে কেমিক্যাল ব্যবহারে সচেতন করে তোলা সম্ভব। আর এর ফলে দেশে অনেক দুর্ঘটনাও এড়ানো যাবে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন (আইইবি)-এর কেমিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আইইবি’র কাউন্সিল হলে ‘কেমিক্যাল সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, কেমিক্যাল সবাই কিছু না কিছু ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এই কেমিক্যাল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে, আর কোথায় রাখতে হবে সেই সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। যার ফলে আমাদের দেশে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পুরান ঢাকায় মানুষ কেমিক্যালের সঙ্গেই বসবাস করছে। বাসা বাড়িতে বড় বড় গোডাউন তৈরি করে রাখছে। অথচ তারা জানে না যে এই কেমিক্যাল যদি কোন ভাবে বিস্ফোরিত হয়, তাহলে তারা মারা যেতে পারে। যা ঘটেছে চকবাজারের চুড়িহাট্টিতে, নীমতলীতে। কোন বাসা বাড়িতে যেন কেমিক্যাল রাখা না হয়, এজন্য সরকার ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই কেমিক্যাল ব্যবহারের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ক্রিস এনার্জির ইএইচএসএস ম্যানেজার প্রকৌশলী চৌধুরী মোহাম্মদ তৌহিদ আমিন, পিইঞ্জ। কেমিকৌশল বিভাগের সম্পাদক (ভারপ্রপ্ত) প্রকৌশলী নাসির উদ্দি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইবি’র কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. হেমায়েত আলী খান।
বিডি প্রতিদিন/৩০ এপ্রিল ২০১৯/আরাফাত