দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)'র কর্মচারী হাসিবুল হাসান সুমনকে (৩৫) ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে সুমনকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
হাসিবুল হাসান সুমন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ের ডাটা এট্রি অফিসার। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের আল্লামা ইকবাল রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার হাবিবউল্লাহর ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার (১০ মে) রাত ১০টায় শহরের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকায় টহল পুলিশের একটি দল সুমনের দেহ তল্লাশী করে ১৫ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করে।
এদিকে, সুমনের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, রাতে পুলিশ আমাদেরকে জানায় সোর্সের মাধ্যমে ইয়াবা বেচাকেনার তথ্য পেয়ে পুলিশ সুমনকে আটকে তার দেহ তল্লাশী করে কিছু পায়নি। পরে কিছু দূরে সুমনের পরিচিত একজনকে তল্লাশী করে ইয়াবা পাওয়া গেছে। কিন্তু সকালে পুলিশ রাতের বক্তব্য থেকে সরে এসে বলছে সুমনের দেহ তল্লাশী করে ইয়াবা পাওয়া গেছে।
স্বজনেরা জানান, সুজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি তারাবিহ'র নামাজের পর সে রাস্তায় বের হলে এক যুবক প্লাস্টিকের ছোট একটি পোটলা তার সামনে ফেলে রাখে। কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশ সেখানে এসে সুমনকে আটক করে।
তবে ওসি কামরুল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করেছে সে গত ৪ মাস ধরে ইয়াবায় আসক্ত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ফাঁসিয়ে দেওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর