রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলনী পরিষদের ডুমুরিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত ফারহানা ইয়াসমিন শাওনের স্মরণে শোকসভার আয়োজন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনার দীপালয় ইয়ুথ ক্লাবের কার্যালয়ে প্রয়াত এই শিল্পীর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে সভার সূচনা হয়।
সুব্রত দাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, শিল্পী শাওন ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনন্য প্রতিভা। তিনি অমায়িক একজন মানুষ ছিলেন, শিক্ষায়, রুচিতে তিনি ছিলেন বিরল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের যে শূন্যতা হলো, তা পূরণ হবার নয়।
শোকসভায় শিল্পী শাওনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই শেখ রাহাত অয়ন বলেন, ‘আমার বোন আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।‘ তিনি এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের দাবি জানান।
শোকসভায় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলনী পরিষদ খুলনা শাখার সহ-সভাপতি অ্যাড মিনা মিজানুর রহমান, অধ্যাপিকা অশোকা দত্ত, আবৃতি সমন্বয় মঞ্চের খুলনা শাখার আহ্বায়ক কাজল ইসলাম, নান্দিক একাডেমীর পরিচালক জেসমিন জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন ঘোষ, দীপালয় ইয়ুথ কায়ারের পরিচালক দীপক দত্ত, গণশিল্পী সংস্থা, খুলনার অধ্যাপক উত্তম কুমার, কাকলী বসু নন্দী, সড়জ, ডুমুরিয়ার শফি আহমেদ, শিল্পী তরুণ মজুমদার, আবৃতি শিল্পী স্মৃতিরেখা বিশ্বাস, বিপ্লবী চারু বসু স্মৃতি পরিষদ, ডুমুরিয়ার বেঞ্জির আহমেদ জুয়েল, শবুজ পাতার দেশের শরিফুজ্জামান টিটো, দীপালয় ইয়ুথ কায়ারের জ্যোতিপ্রভা রায়, রেজাউল ইসলাম সাগর, আরাফাত হোসেন, বীথি বিশ্বাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রয়াত ফারহানা ইয়াসমীন শাওন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে একাধিক জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করতেন। ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর
