সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিরোধী দলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ প্রশ্ন করে বলেছেন, হজ চিকিৎসক দলের সহায়তায় যথাযথ ব্যক্তিদের না পাঠিয়ে মালি, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কেন পাঠানো হচ্ছে?
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে হাজী সাহেবরা হজ করার জন্য পবিত্র সৌদি আরবে যাচ্ছেন। সেখানে আমাদের ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ চিকিৎসক দলের সহায়তা করার জন্য যে টিম পাঠানো হচ্ছে সেখানে হাজীদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে সৌদি আরব যাচ্ছেন ১১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী। কয়েকজন ছাড়া দলের কারও কাজে অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু এর প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কাছে ধর্ম মন্ত্রণালয় যে চিঠি দিয়েছেন সে চিঠিতে বলছেন যে, হজ চিকিৎসক দলের সহায়তাকারীদের সদস্যদের কাজ হলো মেডিকেল ক্লিনিকের সৃষ্ট ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা, রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ গ্রহণে সহযোগিতা করা এবং ক্লিনিক পরিচ্ছন্ন রাখা। এছাড়া দলনেতার নির্দেশে তার অন্য দায়িত্ব পালন করবেন। যেসব রোগী শয্যায় চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তাদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সহায়তাকারীরা বাংলাদেশের হাসপাতালে যেভাবে দায়িত্ব পালন করেন ঠিক সেভাবে দায়িত্ব পালন করবে। তাহলে হাসপাতালে যারা চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করেন তাদেরকে তো এই সহায়তা টিমের পাঠানোর কথা। কিন্তু তাদেরকে না পাঠিয়ে মাননীয় স্পিকার, কাদেরকে পাঠানো হচ্ছে? পাঠানো হচ্ছে গাড়ি চালক, পাঠানো হচ্ছে মালিকে, পাঠানো হচ্ছে জনসংযোগ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১১৮ জন এর মধ্যে মাত্র দু'জন স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত। এদেরকে পাঠানোর কারণটা কি?
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এ প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, এই যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বাজেট আমরা পাস করিয়ে দেই, বাজেট বরাদ্দ দেই। হাজী সাহেবেরা বিদেশে যাবেন তাদের সহায়তা দল যাবেন, সে সহায়তা দলে যদি জনসংযোগ কর্মকর্তা, মালি, ড্রাইভার যান।
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, এরা ওখানে গিয়ে আমাদের হাজী সাহেবদের চিকিৎসা সহায়তার কাজ করে। এই যে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ১১৮ জনকে চিকিৎসার দল পাঠানো হচ্ছে সহায়তার জন্য। তাদেরকে কি কারণে পাঠানো হচ্ছে, কেন পাঠানো হচ্ছে যাদেরকে পাঠানো দরকার তাদেরকে না পাঠিয়ে এ সমস্ত কর্মকর্তাদের কেন পাঠাচ্ছেন? এ বিষয়ে মাননীয় ধর্মমন্ত্রীকে এ মহান সংসদে এসে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দাবি করছি।
পরে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন