কুমিল্লার দেবিদ্বারে দিনেদুপুরে তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মোখলেছুর রহমান নামের 'মানসিক ভারসাম্যহীন' এক ব্যক্তি। পরে গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতক মোখলেছুর রহমান দেবিদ্বারের মর্তুজা আলীর ছেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন রাধানগর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, তার ছেলে হানিফ ও একই বাড়ির নুরল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম। এছাড়া তার হাতে ওই এলাকার আরও পাঁচজন আহত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা মোখলেছুর রহমানকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এতে মোখলেছুর রহমানও মারা যায়।
রাবেয়া বেগম পুলিশকে জানিয়েছে, মোখলেছুর রহমান প্রত্যেক দিন সকাল ১০টার দিকে রিকশা নিয়ে বের হয়। এদিনে সকাল সকাল বের হয়। ফিরে আসে ব্যাগের মধ্যে একটি দা নিয়ে। রাবেয়া দা আনার কারণ জানতে চাইলে বলে প্রয়োজন আছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি। এরপর স্ত্রীকে দা নিয়ে তাড়া করে মোখলেছুর। ভয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে শুনেছি মোখলেছুর অন্যদের কুপিয়েছে। তাদের এক ছেলে তিন মেয়ে রয়েছে। রাবেয়া পুলিশকে জানিয়েছে, মোখলেছুর তাকে মাঝে মাঝে বলতো মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। তবে তার অন্য কোনো সমস্যা ছিল কিনা সেটা তিনি জানেন না। এছাড়া কারো সাথে তাদের বিরোধও ছিলো না বলেও মোখলেছুরের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোখলেছুর সব সময় হাসিখুশি ছিলো। সবাই তার এমন ঘটনায় অবাক। মোখলেছুর লোকজনকে কুপিয়ে পাশের ছেচড়া পুকুরিয়া গ্রামের দিকে চলে যায়। পরে মসজিদের মাইকিং শুনে এসে লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাংবাদিকেদের জানান, মোখলেছুর রহমানের হাতে তিনজন নিহত হয়েছে। পরে গণপিটুনিতে মোখলেছুর মারা যায়। তবে তার এই ঘটনার পেছনে কি কারণ রয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ জুলাই, ২০১৯/মাহবুব