বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা। লাশ বহনকারী পিকআপ থেকে একে একে চারটি লাশ বের করা হয়। এসময় লাশের স্বজনদের আহাজারি আর আর্তনাদে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নারী-পুরুষের চোখেও ছলছল পানি। অশ্রুসিক্ত বিদায় জানাতে প্রস্তুত এলাকাবাসী। মানুষের গভীর ভালোবাসা যেন জমা পড়েছে নির্মমভাবে নিহত মা-ছেলে ও এক নারীর প্রতি। তেমনি ঘৃণা আর নিন্দার ঝড়ে ভাসছে ঘাতক মোখলেছ। উপস্থিত জনতা যখন ঘাতক মোখলেছের লাশ দেখতে পায় তখনই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা এ এলাকায় ঘাতক মোখলেছের জানাজা ও লাশ দাফনের তীব্র প্রতিবাদ ও বাধা প্রদান করেন। লাশ দাফন না করার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।
পরে দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উত্তেজিত এলাকাবাসীকে শান্ত করেন। তিনি নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে ঘাতক মোখলেছের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেন।
এ ব্যাপারে ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, প্রথমে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক মোখলেছের লাশ ও দাফন কাজে বাধা প্রদান করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় ছেছড়াপুকুরিয়া গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালে রিকশাচালক মোখলেছুর রহমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এক শিশু ও দুই নারীকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ জুলাই, ২০১৯/মাহবুব