বরিশালে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক গ্রাম এবং নগরীর জর্ডন রোডের একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে এই ইয়াবা উদ্ধার এবং ২ জনকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
এ সময় ২ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযানের খবরে আত্মগোপন করে তাদের মূলহোতা। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বরিশালে স্মরণকালে মাদকের এতবড় চালান উদ্ধার হয়নি।
বুধবার দুপুর আড়াইটায় পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর কলেজ এভিনিউ এলাকার মাদক ব্যবসায়ী গাজী মাকসুদুল আলম নান্টুর উপর গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে পুলিশ। বিষয়টি টের পেয়ে নান্টু আত্মগোপন করে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে নান্টু ইয়াবার একটি বড় চালান সহ তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিঙ্গামানিক গ্রামে অবস্থান করছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ওই গ্রামের মৃত গাজী আব্দুল মান্নানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার ছেলে হাজী মাকসুদুল আলম নান্টুকে (৪২) ৬ হাজার পিস ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর জর্ডন রোডের একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান টের পেয়ে জাহিদ ও সজল নামে ২ মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে গেলেও ওই বাসা থেকে তাদের এক সহযোগী ঝালকাঠীর কাঠালিয়ার আওড়াবুনিয়া গ্রামের কাজী মো. শাহীনের ছেলে ইমদাদুল হক রাজন কাজীকে (২২) আরও ১৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার ২জন সহ তাদের মূল হোতা ও সহযোগীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে বুধবার একটি মামলা দায়ের করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
এদের মধ্যে নান্টু ১৯৯৫ সালে বিএম কলেজ ছাত্রী স্মৃতি কনা অপহরন ও ধর্ষন মামলায় ১০ বছর কারাভোগ করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় ৩টি মামলা রয়েছে।
এই চক্রের অন্যান্যদের গ্রেফতারসহ বরিশালকে মাদক মুক্ত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার