শিরোনাম
- ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
- আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
- কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
- লঙ্কানদের ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল টাইগাররা
- ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো
- নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার-ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে : তথ্য উপদেষ্টা
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
- উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা
- নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
- আইসিসিতে শেখ হাসিনার বিচার চাইল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
- বিমান বাহিনীর সেফটি প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট কোর্সের সনদপত্র বিতরণ
- শাজাহান খানের মেয়ের সম্পদের হিসাব চেয়ে বাসার দরজায় দুদকের নোটিশ
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগ: নোবিপ্রবি কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ
- তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে দলগুলোর ঐকমত্য আছে : আলী রীয়াজ
- প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে : আলী রীয়াজ
- গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করল স্পেন
- ভিসা নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস
- উল্লাপাড়ার এলংজানি দাখিল মাদ্রাসায় পরপর দুই বছর শতভাগ ফেল
সাড়ে চার বছর পর মায়ের কোলে ফিরল যুথি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

যুথির বয়স তখন ৬ বছর। কোনো কারণে বাবা আব্দুস সাত্তার ও মা সালমা খাতুনের বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটে! যুথির কপালে জোটে সৎ মা! ছোট্ট যুথি সৎ মায়ের জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছিলো না! উপায় না পেয়ে চাচার সঙ্গে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে গৃহপরিচারিকার কাজ করা শুরু করে যুথি। কিন্তু সেখানেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। বাড়ির কর্তা মাঝে-মধ্যেই মারধর করত যুথিকে!
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি। যুথির বয়স তখন ৮ বছর। সেদিনও গৃহকর্তার হাতে মারধরের শিকার হয় ছোট্ট গৃহপরিচারিকা যুথি। সৎ মায়ের কারণে ঠাঁই হয়নি বাড়িতে। ঢাকায় গিয়েও গৃহকর্তার অত্যাচার। তাই উপায়ন্তর খুঁজে না পেয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পা বাড়ায় যুথি। সবার অজান্তে গৃহকর্তার বাড়ি থেকে বের হয়ে সোজা চলে যায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। উঠে পড়ে রাতের রাজশাহীর ট্রেনে। ট্রেনে উঠেই ফুঁপিয়ে কান্না করছিল যুথি। পরদিন ভোরে যুথিকে নিয়ে ট্রেন চলে আসে রাজশাহী। যুথির এমন পরিণতির বিষয়টি নজরে পড়ে জনৈক এক যাত্রীর। ট্রেন থেকে নামিয়ে যুথিকে নিয়ে তিনি সোজা চলে যান রাজশাহীর (শাহ মাখদুম থানার) ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে। ওইদিন থেকে (৮ জানুয়ারি ২০১৯) যুথির আশ্রয় হয় রাজশাহীর মানবাধিকার সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র শেল্টার হোমে।
বুধবার বিকালে আমেনা খাতুন যুথিকে (১২) তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার পর এসিডি’র শেল্টার হোম ম্যানেজার পুষ্প রাণী বিশ্বাস যুথির শেল্টার হোমে আসার ঘটনা এভাবেই বর্ণনা করছিলেন।
পুষ্প রাণী বিশ্বাস বলেন, ‘যুথির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গল কোর্টে। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি শেল্টার হোমে আসার পর থেকেই সে আর বাড়িতে ফিরে যেতে চাচ্ছিলো না। কিন্তু গত ৩-৪ মাস থেকে সে তার মাকে ফিরে পেতে আর্জি জানায়। তার আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে যুথির পরিবারের খোঁজ করতে রাজশাহী ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারকে অনুরোধ জানায় এসিডি। অবশেষে ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের কর্মকর্তারা যুথির পরিবারের খুঁজে পায়। ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে বুধবার তার পরিবারকে আসতে বলেন যুথিকে নিতে। সেই অনুযায়ী যুথির মা সালমা খাতুন, তার সেই সৎ মা ও যুথির ভাই যুথিকে নিতে আসেন। ৪ বছর ৭ মাস পর বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে যুথিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর