জনবল সংকট দূর করতে অচিরেই চুক্তিভিত্তিক ১৫১ জন লোক নিয়োগ করবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য প্রাথমিকভাবে ৪০ জন আনসার সদস্য নিয়োগ, হাসপাতাল চত্ত্বরে নির্মাণাধীন ৫ শয্যার মডেলাইজড ভবনটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতাল চত্বরে বর্জ্য ধ্বংসকরণ প্লান্ট স্থাপন এবং হাসপাতাল চত্বরে থাকা বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্সের লাইসেন্স যাচাই-বাাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় মেডিকেল কলেজের কনফারেন্স কক্ষে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মন্ত্রী মর্যদার আবুল হাসান আবদুল্লাহ এমপি’র সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সভায় সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের নিরলস দায়িত্ব পালনে সন্তোষ প্রকাশ করেন সভাপতি হাসানাত আবদুল্লাহ।
কমিটির সদস্য সচিব হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, আগামী ১ মাসের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অনুমোদিত ১৫১ জন পরিছন্ন কর্মী ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে চুক্তিভিত্তিক জনবল নিয়োগ করা হবে। সে ক্ষেত্রে জনবল সরবরাহকারী কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতা না নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরসারি (প্রার্থীর সাথে চুক্তি করে) এই নিয়োগ প্রদান করবে।
সভায় পরিচালকের এই প্রস্তাব সর্বসন্মতিক্রমে গৃহীত হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য আপাতত ৪০ আনসার সদস্যকে নিয়োগের জন্য সভায় সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম অচিরেই জেলা আনসার কমান্ডারের সাথে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আগামী ডিসেম্বরে মধ্যে হাসপাতালের পূর্বপ্রান্তে নির্মাণাধীন ৫ শয্যার মডেলাইজড হাসপাতাল ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে নির্দেশ দেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।
ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের প্রসংশা করে সভার সভাপতি বলেন, হাসপাতালে আরো আধুনিকতার ছোয়া লাগাতে সব ধরনের কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে এখানকার চিকিৎসকসহ কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ পেলে কোনভাবেই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
সভায় হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, জাহিদ ফারুক এমপি এবং হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন ছাড়াও বরিশাল-৬ আসনের এমপি নাসরিন জাহান রত্না আমীন, সংরক্ষিত এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, বিএমপি কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকারিয়া, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মাকসুমুল হক, হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাইদুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, বিএমএ’র জেলা সভাপতি ডা. মো. ইসতিয়াক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মনিরুজ্জামান, প্রাইভেট প্রাকটিশনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দল্লাহ সাজু সহ র্যাব, জেলা পুলিশ, গণপূর্ত বিভাগ, সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি ছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবা তত্ত্বাবায়ক এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল