দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। তাদের দাবি মানা না হলে ১ অক্টোবর থেকে জাতীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর প্রেক্ষিতে বেতন বাড়ানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে গত ৮ সেপ্টেম্বর অর্থমন্ত্রণালয়ের উপ সচিব সাদিয়া শারমিন স্বাক্ষরিত নথিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড যথাযথ ও সঠিক থাকায় প্রধান শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১০ এবং সহকারী শিক্ষক পদের বেতন গ্রেড-১২ তে (যদিও সংবাদ সম্মেলনে গ্রেড-১১ এর কথা বলা হয়েছে) উন্নীতকরণের সুযোগ নেই।’
অর্থমন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে সিদ্ধান্ত বাতিলে ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করে আসছি। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই দাবি গ্রহণ করে। দাবির প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ অর্থ মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাবনা বাতিল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন বলেছেন শিক্ষকদের মর্যাদার স্কেল প্রদান করা হবে, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় বলে দিল শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই! অর্থ মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের অবহেলার চোখে দেখছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এ সময় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম