১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:০৪

জাহাঙ্গীরনগরের ভিসির অবিলম্বে অপসারণ চাই: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাহাঙ্গীরনগরের ভিসির অবিলম্বে অপসারণ চাই: মির্জা ফখরুল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র লীগকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠায় অবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ দুপুরে এক মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান। 

তিনি বলেন, আজকে একটা খুব ইন্টারেস্টিং খবর আছে- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘুষ চাওয়ার অপরাধে- ওটার আবার নতুন নাম দিয়েছে ‘ফেয়ার শেয়ার’ অর্থাৎ ঘুষটা যে ওরা নেবে ৫%, ১৯% এটা ফেয়ার শেয়ার। এই  ফেয়ার শেয়ারের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের নাম চলে এসেছে। তিনি নাকি ইতিমধ্যে এক কোটি টাকা দিয়েছেন। তাহলে শুধুমাত্র এই দুই ছাত্রের (ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) কেনো বাবা। ভাইস চ্যান্সেলরের কী হবে? ইমিডিয়েটলি দ্য ভাইস চ্যান্সেলর সুড রিজাইনড অর সি সুড বি স্যাকড।
 
মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও ডিন তারা গোপনে ছাত্র ভর্তি করছে রাতের বেলায়। কোথায় আছে! কোথায় আপনার দুর্নীতিমুক্ত জায়গা। প্রতিটি জায়গায় পরীক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, বিচারালয়- কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, শিরিন সুলতানা, মুক্তিযোদ্ধা দল এম এ হালিম মিযা, কুতুব উদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের নেতারা বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, (শনিবার) নতুন পুলিশ কমিশনার সাহেব জয়েন করেছেন। ভালো ভালো কথা বলেছেন। একটা কথা বলাতে আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। যদি ওসি কাজ না করে এবং সেবার বিনিময়ে অর্থ দাবি করে তাহলে সেখানে আমাদেরকে জানাবেন, আমরাই গিয়ে সেখানে বসব। ইটস এ রিকগনেশন অব দ্যা করাপশন। যেটা গতকাল দুই নেতাকে (ছাত্রলীগ) বের করে দিয়ে তারা (সরকার) স্বীকার করে নিয়েছেন যে, করাপশন চলছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, হাজার চেষ্টা করেও আর ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। বেরিয়ে আসছে থলের বেড়াল। ওই কালো বেড়ালের মতো এবং এটা এখন জনগণের কাছে পুরোপুরি চলে গেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন এই দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। কারো কোনো স্বাধীনতা নেই। কী করেছে এই সরকার? আপনারা নিজেরাই সকলের কাছে শুনলেন, খবরের কাগজে প্রতিদিন দ্খেছেন। এখন রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন না, রাষ্ট্রই আজকে রাজনীতিবিদদেরকে পরিচালনা করছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এতো ভয় পান কেনো? ছাত্রদলের কাউন্সিল তা বন্ধ করতে কী বিভিন্ন নাটক করল আপনারা দেখলেন। কেনো? তাহলে গণতন্ত্রকে আপনারা চলতে দিতে চান না। যারা গণতান্ত্রিক ভাবে কাজ করতে চায় তাদেরকে আপনারা বাঁধা দিতে চান, তাদের পথকে বন্ধ করে দিতে চান। আমাদের প্রথম কথা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, গণতন্ত্রকে মুক্তি দিন, নির্বাচন করুন। অন্যথায় ইতিহাসের পাতায় যে লেখা আছে, সেই পাতার পরিণতি বহন করার জন্য প্রস্তুত থাকুন।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর