চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ১৩ বছর পর বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল ৫০০ শয্যা থেকে ১২০০ শয্যায় রুপান্তরিত হলো। এখন শুধু চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ কাঠামো পূরণ করা হলে ১২০০ শয্যার হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা হয়ে যাবে।
এদিকে, প্রায় ৬৪ কোটি টাকা টাকা ব্যায়ে হাসপাতালের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও বিএমএ বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডাঃ রেজাউল আলম জুয়েল জানান, ১৯৯৮ সালে ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতাল নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণের পর ২০০৬ সালে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে শহরের অদূরে সিলিমপুরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকেই রোগীর চাপ চাপ বেড়েছে। প্রায় সব ধরণের চিকিৎসা সেবা দেয়ার কারণে এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি য় দিগুণ। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রনালয় ব্যয় ব্যবস্থাপনা অধিশাখা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১২০০ শয্যায় উন্নতি করার এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এর ফলে বগুড়া বাসীর দীর্ঘ দিনের যে দাবি ছিল তা পূরন হল। ১২০০ শয্যার হাসপাতলের প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের পর পূর্ণাঙ্গ ভাবে চিকিৎসা সেবা পাবে রোগীরা।
তিনি আরও জানান, ১২০০ শয্যার জন্য ইতমধ্যে হাসপাতালের ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এতে ব্যায় হয়েছে প্রায় ৬৪ কেটি টাকা। সাড়ে ৪ তলা থেকে ৭ তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এই ভবনটির ভিত দেয়া আছে ১০ তলার।
শজিমেক পরিচালক এর কার্যালয় সুত্রে জানানো হয়েছে, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও রোগী ভর্তি থাকে প্রতিদিন প্রায় ১৩০০ থেকে ১৪০০ জন। রোগীরা বেড না পেয়ে হাসপাতলের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা সেবা নিত। ফলে ৫০০ শয্যার জনবল নিয়ে ১৫০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতে হতো। রোগীদের অতিরিক্ত খাবারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের অর্থের জন্য তাগাদ দিতে হতো। এবার ১২০০ হওয়ায় এবং এর প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ পেলে হাসপাতালের চিকিৎসার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।
বগুড়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান রনি বলেন, বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের শয্যা বর্ধিত করণসহ আরো উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে বর্ধিত কাজ প্রায় শেষ। ভবনগুলোর এখন রং করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ