কুমিল্লার দেবিদ্বারে দ্বিতীয় শ্রেণির (৯) এক ছাত্রীকে লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রিয়াজুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে বেগুন গাছ দিয়ে পিটিয়ে আটক করেছে স্থানীয়রা। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার বাগুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক রিয়াজুল (২২) বাগুর এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে এবং কোরপাই এলাকার একটি সুতার মেইলে কাজ করে। ওই ছাত্রী বাগুর এলাকার একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ২য় শ্রেণিতে পড়ে এবং সম্পর্কে রিয়াজের ভাতিজি। বাগুর এলাকার এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা রিয়াজুলকে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় রিয়াজ ওই শিশুটিকে ৫০ টাকা দেবে বলে জোর করে পার্শ্ববর্তী আবদুল ওহাব মিয়ার বেগুন ক্ষেতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে বাহার (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র রিয়াজকে বেগুন গাছ দিয়ে পিটিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
মামলার বাদী ও নির্যাাতিত ওই ছাত্রীর মা জানান, রিয়াজ সম্পর্কে চাচা হলেও সে আমার এ নাবালক মেয়েকে দেখলে প্রায় সময়ই বিভিন্ন খারাপ কথা বলত। আমি কয়েকবার তাকে নিষেধ করেছি। তারপরও সে শুনেনি। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে তার মায়ের কাছে নালিশ দিলেও তার মা হাসি দিয়ে উড়িয়ে দেন। তিনি আমার কথার কোন মূল্য দেইনি। যার কারণে আজ আমার শিশু মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হলো। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, নির্যাাতিত ওই শিশুটির গায়ে নখের আচড় রয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত রিয়াজকে আটক করেছে। ধর্ষক রিয়াজুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
