নিয়োগবিধি সংশোধন করে চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়াসহ ছয় দফা দাবিতে বগুড়ায় অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মো. মাসুদ রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম শাহীন, সহ-সভাপতি হাসানুজ্জামান, আবু জিহাস, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাহেনা খাতুন, স্বাস্থ্য সহকারী আশরাফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন, উজ্জল হোসেন, রাফিউদ্দিন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মান্নান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আল রাহিসান, জীবন নাহার, হেলেনা খাতুন, সানজিদা আকতার, মাহবুব, আব্দুল কুদ্দুস, রফিকুল ইসলাম, সাথী খাতুন, আব্দুল হালিম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সাফল্যের পেছনের মূল কারিগর স্বাস্থ্য সহকারীরা। স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন ১৬তম গ্রেড দিয়ে শুরু হয়। প্রমোশন হলেও বেতন কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হয় না। আমরা টেকনিক্যাল কাজ করি। কিন্তু আমাদের গ্রেড দেয়া হয়েছে নন-টেকনিক্যাল। এতে আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। বিভিন্ন সরকারের সময়ে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল উন্নতির জন্য স্বাস্থ্য সহকারীরা আন্দোলন করলেও তা প্রতিশ্রুতি এবং আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে দেশে প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। তারা শিশু, গর্ভবর্তী নারী ও কিশোরীদের টিকাদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করেন। কর্মসূচিতে দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক/সমমান এবং ১৪তম গ্রেড প্রদান। ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেড প্রদানসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করতে হবে। পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে উন্নতিকরণ করতে হবে। বেতন স্কেল উন্নতি ও পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লেমা (এস আই টি) কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ ডিপ্লেমা সম্পন্নকারী সমমান হিসেবে গণ্য করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল