রাজশাহী সিটি করপোরেশন অর্ধশত কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে নগরীজুড়ে নির্মাণ করেছে ড্রেন। কিন্তু সেই ড্রেন কোনো কাজে আসছে না। সামান্য বৃষ্টিতে নগরজুড়ে দেখা দিচ্ছে জলাবব্ধতা। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। খোদ মেয়রের বাড়িতে যাওয়ার সড়কে জমে থাকছে হাঁটু পানি।
এখন আষাঢ় মাস। কিন্তু রাজশাহীতে সোমবারের সকালটা শুরু হয়েছে আষাঢ়ের মতো। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি চলে। তবে নগরীর উপকণ্ঠ চৌদ্দপাই এলাকায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের কার্যালয় থেকে যে বৃষ্টি পরিমাপ করা হয় সেখানে বৃষ্টি হয়েছে ছিটেফোঁটা।
রাজশাহী মহানগরীর ভেতরে রীতিমতো ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এতে সকালে অফিসগামী লোকজন পড়েন ব্যাপক ভোগান্তিতে। স্কুল-কলেজ যাওয়ার পথে বৃষ্টিতে ভিজতে হয় অনেক শিক্ষার্থীকে। বৃষ্টির কারণে মালামাল গুটিয়ে নেন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। কমে আসে যানবাহন। সকাল থেকে শহর প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়ে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, উপশহর, সিটি বাইপাস মোড় ও আদালত চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। সকালে হাঁটুপানি মাড়িয়েই অফিসে যেতে হয় কর্মজীবী মানুষকে। আদালত চত্বরে দুর্ভোগে পড়েন আইনজীবীরা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, সকাল ৮টার দিকে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়ে সেটা বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টিপ টিপ চলছেই। এই সময়ের মধ্যে শূন্য দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলেও জানান আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা।
তবে সামান্য এই বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। উপশহরের তিন নম্বরের সেক্টরের রুহুল আমিন জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে। ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই ড্রেন কাজে আসছে না। পানি নেমে যাওয়ার পথগুলো সব সময় বন্ধ হয়ে থাকে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, কয়েকটি এলাকায় পানি জমলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। নগরজুড়ে উন্নয়ন কাজের জন্য কিছু এলাকায় পানি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। তবে পানি জমে থাকবে না
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন