১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ১৭:২০

সড়ক পারাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে মেয়র আতিকের প্রচারাভিযান

অনলাইন ডেস্ক

সড়ক পারাপারে সচেতনতা সৃষ্টিতে মেয়র আতিকের প্রচারাভিযান

পথচারীদের সড়ক পারাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারণা চালিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সোমবার বেলা এগারটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউতে গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের সামনে এ প্রচারাভিযান চালান তিনি। 

চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন এ প্রচারাভিযানে যোগ দেন। প্রচারাভিযানকালে ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে তারা পথচারী ও গাড়িচালকদের প্রচারপত্র বিতরণ করেন এবং ট্রাফিক সিগনাল মেনে চলার বিষয়ে গাড়ি চালকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন। গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের সামনে ডিএনসিসি কর্তৃক স্থাপিত পুশ-বাটন চেপে সড়ক পার হওয়ার জন্য মেয়র পথচারী ও গাড়িচালকদের কাউন্সেলিং করেন। এসময় সিগন্যাল পয়েন্টে দাঁড়িয়ে পথচারীদের সচেতন করতে চার ধরনের লিফলেট বিতরণ করেন ডিএনসিসি মেয়র। এর মধ্যে চালকের জন্য বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা দুই ধরনের, পথচারীদের জন্য এক ধরনের এবং ট্রাফিক আইন ও দণ্ডসমূহ সম্পর্কে অবগত করতে আরেক ধরনের লিফলেট বিতরণ করা হয়।

প্রচারাভিযানকালে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কেউ আইন ভঙ্গ করে না। কারণ সেখানে আইন ভঙ্গ করলে বড় ধরনের জরিমানা ও শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু একই চালক ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আসলে আইন অমান্য করে‌। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এক ধরনের আচরণ এবং বাইরে আরেক ধরনের আচরণ হতে পারে না। সারা বিশ্বেই কঠোরভাবে আইন মানা হয়। সবখানেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। এর মূল কারণ আইন অমান্য করলে কঠিন শাস্তি এবং বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়’। 

তিনি আরো বলেন, মানুষ যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং আইন মেনে চলে সেজন্যই শাস্তি এবং জরিমানা বাড়িয়ে নতুন আইন করা হয়েছে’। 

মেয়র আরো বলেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পরে অনেকে ক্ষমতা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। আইন ভঙ্গকারীরা নিজের বা পরিচিত ক্ষমতাবানদের পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। এমন কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে বিরত থেকে আইন মেনে চলতে আহ্বান জানান তিনি। 

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হলে আমাদের এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে হবে। একসময় আমাদের দেশে সিনেমার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এখন এর উন্নতি হচ্ছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে কোর্স চালু আছে। আমাদের দেশে এখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু করতে হবে। রাস্তায় শুধু ট্রাফিক থাকলে হবে না। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার থাকতে হবে। তাহলে সুস্থ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হবে’।

প্রচারাভিযানকালে ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তাপ্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর