সুব্রত বাইন। এক সময়ের রাজধানীর আন্ডারওয়ার্ল্ডের 'কিলিং মাস্টার' ছিলেন তিনি। তার নামে উঠেছে কোটি কোটি টাকা চাঁদা। নানা কৌশলে ডাবল ও ট্রিপল খুনের ঘটনাও ঘটিয়েছেন তিনি। দিন-রাত তার কাছে কোনো পার্থক্য নেই। যখন-তখন লাশ ফেলতে পারতেন। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় অন্যতম সদস্য এই সুব্রত বাইন। শুধু দেশের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ভিনদেশেও বেশ তৎপর ছিলেন এক সময়। এমনকি নেপালের জেল ভেঙেও পালিয়েছেন এই সুব্রত। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গের জেলে বন্দী। কিন্তু তার নাম ভাঙিয়ে প্রায়ই বাংলাদেশের মানুষের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়। এগুলো সবই আসে ভারতীয় নম্বর থেকে। মূলত, সবগুলোই ফোনই সুব্রতের নাম ভাঙানো ফোন। এ রকমই একটি ফোন আসে চাকরিজীবী নারী সাবিনা ইয়াসমিনের মুঠোফোনে। মুঠোফোনের অপর প্রান্তে থেকে দাবি করা হয়, তিনি সুব্রত বাইন। মগবাজারের সেই আলোচিত সেভেন স্টার গ্রুপের কর্ণধার। তিনি সেই নারীর সব খোঁজ-খবর, এমনকি গ্রামের বাড়ি কোথায় তাও বলতে থাকেন। যে নম্বর থেকে এই নারীর মুঠোফোনে কল আসে তা হলো ০০৯১-৮০১৭৮২২৭২৫।
নিজেকে সুব্রত বাইন দাবি করা জনৈক সেই ব্যক্তি বলেন, আমার কয়েকজন ছেলে 'রোড আক্সিডেন্ট' করেছে বাংলাদেশের সাভারে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎবার জন্য ভারতে আনা হয়েছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য ১৪ লাখ টাকা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ১০ লাখ টাকা জোগাড় করা হয়েছে। আরও ৪ লাখ টাকা লাগবে। আপনি আমাকে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে তিন থেকে চার লাখ টাকা জোগাড় করে দেন। আমার ছেলেরা আপনার কাছ থেকে সেই টাকা সংগ্রহ করবে।
প্রত্যু্ত্তরে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমি চাকরিজীবী মানুষ। এখনো বেতন পাইনি। বড়জোর ১০ হাজার টাকা দিতে পারবো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে চাঁদা দাবি নিয়ে অনেকটা যেন দর কষাকষি হয়। সুব্রত বাইন বলেন, আপাতত ৩০ হাজার টাকা দেন। ভদ্র মহিলা বলেন, আমি ১০/১৫ হাজার দিতে পারবো। এরপর বলেন, ১৭ হাজার। আর সেই ব্যক্তি দাবি করেন ২০ হাজার।
বিস্তারিত শুনতে অডিওতে ক্লিক করুন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব