শিরোনাম
- খাগড়াছড়িতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
- কানাডায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উদযাপিত
- ঢাকার প্রতিটি থানা হবে জনগণের: ডিআইজি রেজাউল
- তিন দাবিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা শাহবাগে
- মন্সিগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা-লুটপাট, আহত ৪
- তীব্র গরমে আজও পুড়বে ঢাকাসহ আট জেলা
- এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৮ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
- উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি
- ভারতে বাংলাদেশি প্রবাসী সাংবাদিক ও সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টদের ইউটিউব চ্যানেলও বন্ধ
- আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি
- যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
- মাদককাণ্ডে কারাদণ্ডের পরিবর্তে ম্যাকগিলকে অন্যরকম শাস্তি
- গুরুদাসপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ২
- গেজেট প্রকাশের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
- সিনেমা জগতের কাউকে বিয়ে করতে চাননি মাধুরীর স্বামী
- ঢাকাসহ ৮ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের আভাস
- আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কেবল নিষিদ্ধ করে থেমে গেলে চলবে না : ইশরাক
- কোহলিকে অবসর না নিতে অনুরোধ লারার
- সূচকের বড় উত্থানে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
- ভাঙ্গায় রাতের আঁধারে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম, একজনের মৃত্যু
শিশুদের লাইনে দাঁড় করিয়ে পিয়াজ কিনছেন দোকানিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

পিয়াজের বাজারের আগুন এখনও থামেনি। রাজশাহীর বাজারে এখনও পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের জন্য ৪৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে নগরীর বিভিন্ন সবজির দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ঠিক সেই রকম পিয়াজ, যা টিসিবি বিক্রি করছে।
অভিযোগ উঠেছে, শিশুদের লাইনে দাঁড় করিয়ে এসব পিয়াজ কিনছেন দোকানিরা।
নগরীর লক্ষ্মীপুর কাঁচাবাজার ও হড়গ্রাম বাজারে এই পিয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। দাম ১৯০ টাকা কেজি। অথচ এই পিয়াজই টিসিবির পরিবেশকদের ট্রাক থেকে বিক্রি করা হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। বুধবার নগরীর ভদ্রা এলাকায় অনিয়ম করে পিয়াজ বিক্রি করায় টিসিবির ডিলার মেসার্স ওয়াসিম ট্রেডার্সের ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের পরই বেশিরভাগ ট্রাক থেকে পিয়াজ বিক্রি শেষের ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রত্যেকটি ট্রাকের জন্য বরাদ্দের এক টন পিয়াজ পয়েন্টে আনা হচ্ছে না। আবার ট্রাকে পিয়াজ থাকতেও শেষ করা হচ্ছে বিক্রি। ফলে পিয়াজ চলে যাচ্ছে নগরীর সবজির দোকানে।
বুধবার নগরীর সাহেববাজার পয়েন্টে দেখা যায়, শিশুরা লাইনে দাঁড়িয়ে পিয়াজ কিনছে। কয়েকজনের জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিশুরা জানায়, সবজির দোকানের মালিকের হয়ে তারা পিয়াজ কিনছে। এজন্য তাদের ২০ টাকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ভদ্রা মোড়ে টিসিবির বরাদ্দকৃত সব পিয়াজ বিক্রি না করেই চলে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন ডিলার মেসার্স ওয়াসিম রেজা ট্রেডার্স। পালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সব পিয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন বিক্রয়কর্মীরা। বুধবার তার ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।
ওই পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা তালাইমারী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য আবদুর রহিম জানান, বিক্রয়কর্মীরা এক টন পিয়াজের সবগুলো বিক্রি না করে লুকিয়ে রেখে ট্রাক নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপস্থিত জনগণ বিষয়টি ধরে ফেলে। পরে পুলিশের মধ্যস্থায় লুকিয়ে রাখা পিয়াজগুলো ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হয়।
টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান প্রতাপ কুমার জানান, পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে নগরীর ৫টি পয়েন্টে ডিলারদের মাধ্যমে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন একজন ডিলারকে এক টন করে পিয়াজ দেওয়া হচ্ছে। সবজির দোকানে টিসিবির পিয়াজ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ট্রাকে পিয়াজ তুলে দেওয়ার সময় আমি আমার অফিসের একটা লোক সঙ্গে দিচ্ছি। তিনি নির্ধারিত পয়েন্টে পিয়াজ পৌঁছে দিয়ে আসছেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে পিয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। তারপরেও কীভাবে পিয়াজ সবজির বাজারে যাচ্ছে তা মাথায় আসছে না।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর