রাজধানীর ধামরাইয়ে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ইজিবাইক জব্দের পর তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে একটি ফাঁড়ির ইনচার্জসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে বিকেলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রাথমিক সত্যতা যাচাই শেষে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন কাউলীপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শামীম।
জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার জালসা গ্রামে তিন বাড়ি দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে রমজান আলী নামে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়। ডাকাতরা আশেপাশের তিনটি বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণংলকার লুট করে পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলা হয়। মামলা নং (৩৮)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও আইসি ফজলুল হক জিরানি এলাকায় একটি ইজিবাইকের গ্যারেজ থেকে এএসআই শামীমকে সাথে নিয়ে ডাকাতদের ব্যবহৃত তিনটি ইজিবাইক উদ্ধার করে। পরে সেগুলো ফাঁড়িতে রাখা হলেও পরে তা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরবর্তীতে ফাঁড়ির ইনচার্জ ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ইজিবাইক তিনটি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা