৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:৩০

চামড়া শিল্প খাতকে রক্ষার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চামড়া শিল্প খাতকে রক্ষার আহ্বান

ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে চামড়া খাতের রফাতানি আয়। তাই দেশের অন্যতম রফতানি উপার্জনকারী চামড়া শিল্প খাতকে রক্ষায় পরিবেশ বান্ধব আধুনিক চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন এর সাথে সংশ্লিষ্টজনেরা। 

তারা জানান, রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে চামড়া শিল্পনগরী সাভারে স্থানান্তর করা হলেও এখনো পুরোদমে চালু হয়নি সেটা। এই শিল্পনগরীতে এখনো কঠিন বর্জ্য অপসারণের জন্য কোনো ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। আবর্জনা প্লান্ট স্থাপন করা হয়নি। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) সম্পূর্ণ চালু হয়নি। রয়েছে জলাবদ্ধতা সমস্যা। ডাম্পিং স্টেশন খোলা। 

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সোমবার আয়োজিত এক সভায় এভাবেই সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর করুণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। 

‘টেনারি ওর্য়াকার্স আফটার রিলোকেশন টু সাভার: চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক এই সভা যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন, ট্যানারি ওর্য়াকার্স ইউনিয়ন ও মনডিয়াল এফএনভি। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন লেবার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান। বক্তব্য রাখেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি মোল্লা আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার অ্যান্ড গুডস এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেবার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আনাম। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে চামড়া শিল্পনগরীর সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়। এসময় জানানো হয়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে ১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা চিল আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এখাতে রপ্তানী হয়েছিল ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার।

১৯৫০ সালে চামড়ার কারখানা নারায়নগঞ্জ থেকে হাজারীভাবে স্থানান্তর করা হয়। এখানে ২২০টি কারখানা গড়ে ওঠে। এরপর ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাসে সাভারে চামড়া শিল্প নগরী প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেখানে ২০৫ প্লটের মধ্যে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ১৫৫টিতে কারখানা গড়ে উঠেছে। কিছু কারখানা এখনো নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি। এসব কারখানায় ২৬ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। তারা নিয়মিত মজুরি পান না। তাদের জন্য নেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা এবং মৃত্যু প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এছাড়াও শ্রম আইন বাস্তবায়ন হয়নি, সরকার ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন হয়নি। এসব বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান তারা। সভায় শ্রমিক, মালিক ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর