সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) প্রকল্পের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন। আগামীকাল সোমবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক মোজাহারুল ইসলাম।
এসিটি শিক্ষকরা জানান, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে এর আগে দফায় দফায় আন্দোলন করেছেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসিটি শিক্ষকদের বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। কিন্তু আজও এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
শিক্ষাবান্ধব সরকারের স্লোগান ‘মুজিববর্ষে কেউ থাকবে না বেকার’। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর পূর্বে সেকায়েপভুক্ত এসিটিদের বিনা শর্তে দ্রুত এসইডিপি প্রোগ্রামে স্থানান্তর বা চাকরি স্থায়ীকরণের লিখিত প্রজ্ঞাপনের জোর দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসম্মত শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষাবান্ধব সরকার ২০১৫ সাল হতে তিন বছর মেয়াদে আকর্ষণীয় বেতনে সেকায়েপ প্রকল্পের অধীনে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৫ হাজার ২০০ জন বিষয়ভিত্তিক (ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান) অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষক (এসিটি) নিয়োগ দেয়া হয়। এদেরকে ‘মডেল শিক্ষক’ বলেও অভিহিত করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি প্রকল্প শেষে চাকরি স্থায়ীকরণের উল্লেখ ছিল। এসিটিদের কারণে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক সাফল্য বাড়ে, ঝড়ে পড়া রোধ, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ ও বাল্যবিবাহ হ্রাস তথা শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে সেকায়েপভুক্ত অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষে গত ২৬ মাস ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করে এসিটিরা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন