বরিশালের ঈদ বাজার থেকে করোনা ভীতি উধাও হয়ে গেছে। নতুন পোষাকসহ ঈদ পণ্য বেচা-কেনার আনন্দে চাপা পড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার করোনা ভীতি। স্বাস্থ্য বিধির কিছুই মানছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। এমনকি শিশু এবং বয়স্কদেরও ঈদের কেনাকাটায় নিয়ে আসছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি উপেক্ষিত হওয়ায় এবারের ঈদে ঘরে ঘরে করোনা সংক্রামন ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ঈদ বাজারে হাজারো মানুষের ভীরে স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে নগরীতে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা মাইকিং করে ক্রেতা-বিক্রেতাকে সতর্ক করেছেন। জরিমানাও করছেন। অপরদিকে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হওয়ায় ফের দোকান-মার্কেট বন্ধের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শর্ত ছিলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান-মার্কেট খোলার। কিন্তু বরিশালে কেউ স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা করছেন না। সোমবারও পুরনো চিত্র দেখা গেছে নগরীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চকবাজারের।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, তাদের উপস্থিতিতে ক্রেতা-বিক্রেতার কিছুটা সংযত আচরণ করছেন। কিন্তু চলে যাওয়ার পর ফের বেপরোয়া হয়ে উঠছেন তারা। জনগণের ভেতর থেকে বোধদয় না হলে এভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিধির বাস্তবায়ন অসম্ভব বলছেন এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অপরদিকে বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, সীমিত পরিসরে মার্কেট খোলার সুুযোগ দিলেও ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না। এ কারণে মার্কেট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা প্রশাসন আগামীকাল ১৯ মে থেকে বরিশালের ঈদ মার্কেট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল