শিরোনাম
- নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
- ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
- সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
- মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
- বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
- পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী
- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ রাজ্যের মামলা
- মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক
- শান্তির হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের জয়ের হ্যাটট্রিক
- ৮ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার দুয়ারে ডসন
- ট্রাম্পের আল্টিমেটামের তোয়াক্কা করে না রাশিয়া
- বাড়তি ভাড়া না দেওয়ায় ইবি ছাত্রীকে মারধর, বাস আটক
- দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ
- মার্কিন শুল্কের চাপ নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন : আমীর খসরু
- জুলাই পুনর্জাগরণে বুধবার চট্টগ্রামে ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শো’
- তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জন্য বাউবি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: উপাচার্য
- বদলি আদেশ ছিঁড়ে এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
- গোসাইরহাটে পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
- ব্রিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
রাজশাহীতে তিন ছিনতাইকারী পিস্তলসহ গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর দুর্ধর্ষ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার মামলার আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশ তাদের কাছে অস্ত্রও পায়। পুলিশ বলছে, এরা রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। ছিনতাইয়ের বাইরে আরও নানা অপরাধে জড়িত তারা।
গ্রেফতার তিনজন হলো- নগরীর হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকার মৃত কুদরত আলীর ছেলে জানা ওরফে জনি (৩০), তার ছোট ভাই রায়হান ওরফে পাপ্পু (২৬) এবং মধ্য নওদাপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলাম জনি (২৮)। জনির বাবার নাম মৃত সোহরাব হোসেন।
এর মধ্যে পাপ্পুর বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় ছয়টি মামলা আছে। জনির বিরুদ্ধে আছে চারটি মামলা। আর আশরাফুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে রাজপাড়া ও পবা থানায় আছে তিনটি মামলা। তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলাগুলো আছে ছিনতাই, মারামারি এবং মাদকদ্রব্য বিক্রির অপরাধে। তারা বার বার গ্রেফতার হয়, ছাড়া পেয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ছিনতাই তাদের প্রধান ‘পেশা’।
এই তিন ছিনতাইকারীকে রবিবার রাত ১টার দিকে নগরীর হেতেমখাঁ পানির পাম্প এলাকা থেকে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইফতেখার মোহাম্মদ আল-আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, অস্ত্রসহ গ্রেফতার পাপ্পু ও জানা এবং রতন এবং ইলিয়াস নামের আরও দুইজন রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বর্ণালী মোড়ের পিছনে ইমরান হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তারা ইমরানকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পিস্তল উঁচিয়ে পালিয়ে যায়। আহত ইমরানের বাড়ি হেতেমখাঁ ছোট মসজিদ এলাকায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইমরানের বড় ভাই শওকত হোসেন। এরপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়।
পরে রাতে জানা যায়, হেতেমখাঁ এলাকায় তিনজন আত্মগোপন করে মাদকসেবন করছে। সেখানে পুলিশ অভিযানে যায়। এ সময় একটি পিস্তলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশ দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিল পাপ্পু। তখন দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে তার পা ভেঙে যায়। পরে তাকেও ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওসি জানান, আহত পাপ্পুকে রামেক হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। অন্য দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর