রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা রাশিদুল হাসানের শরীরে করোনার উপসর্গ আছে। তাই পুরো পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতে রাশিদুল হাসান ও তার স্ত্রী হাসিনা পারভীনের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। কিন্তু তাদের দুই সন্তানের রিপোর্ট এসেছে করোনা পজিটিভ।
রাশিদুল হাসান একটি ওষুধ কোম্পানির রাজশাহীর ব্যবস্থাপক। তার করোনা আক্রান্ত মেয়ে আনিকা (১৪) এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। আর ছেলে ওয়াসি (৭) পড়াশোনা করে তৃতীয় শ্রেণিতে।
রাশিদুল হাসান জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তিন মাস ধরে তার সন্তানরা বাড়ির বাইরে যায়নি। তার গৃহিনী স্ত্রীও কোথাও যাননি। অথচ তিনি অফিসের কাজে হাসপাতাল-বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গেছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে তার। কিন্তু বাড়ির বাইরে না গিয়েও তার দুই সন্তান কীভাবে আক্রান্ত হয়েছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগের ল্যাবে মঙ্গলবার (১৬ জুন) মোট ১৩ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাশিদুলের সন্তান আনিকা এবং ওয়াসিও আছে।
রাশিদুল জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে তার জ্বর-সর্দি আছে। তাই নমুনা পরীক্ষার জন্য সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে ফোন করেন। গত সোমবার (১৫ জুন) বাড়ি থেকে তাদের পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু উপসর্গ থাকলেও নমুনায় তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
রাশিদুল জানান, হাসপাতাল থেকে তার দুই সন্তানের করোনা পজিটিভ থাকার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপর দুই সন্তানকে আলাদা একটি ঘরে রেখেছেন। ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা এবং অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে তার জানাশোনা আছে। তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারা যেভাবে পরামর্শ দেবেন সেভাবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ