শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ বছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দাফতরিক কাজে পেশাগত দক্ষতাসহ শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মনোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা প্রদান করা হয়।
পুরস্কার হিসেবে নির্বাচিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সনদ ও এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে।
পুরস্কার প্রাপ্তগণ হলেন- দপ্তর/সংস্থা প্রধান পর্যায়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত সচিব) শিবনাথ রায়, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বেগম শাকিলা জেরিন আহমেদ এবং অফিস সহায়ক মো. ফেরদৌস জামান।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা, ২০১৭ প্রণয়ন করে। নীতিমালার ৪ ধারা অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র ও ১৯টি সূচক বিবেচনায় নিয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়ার জন্য এ তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচন করা হয়।
শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি হচ্ছে- পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।
এ বছর কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারীর এ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে দেশের শ্রম খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন অধিদপ্তরসমূহ নানামুখি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শ্রম অসন্তোষ নিরসনে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় নেতৃত্বে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাঁর নেতৃত্বে কর্মস্থলে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অধিদপ্তরের এমবিবিএস ডাক্তারগণের মাধ্যমে সারা দেশের শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা এবং করোনা সংক্রমণ রোধে কলকারখানায় বিশেষ পরিদর্শন চালু করা হয়।
এছাড়া গত বছরসহ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ই-ফাইলিং-এ কয়েকবার প্রথম স্থান অর্জন করে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম