করোনাকালীন এই চরম দুঃসময়ে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী ৫১ হাজার শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শরিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
এতে তারা অবিলম্বে সরকারকে এই 'গণবিরোধী' সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান এবং পাটকল শ্রমিকদের সকল কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব বিএনপি, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, বিকল্প ধারার অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের সবগুলো পাটকল সরকার বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাটকলগুলোতে বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। এছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। অর্থাৎ ৫১ হাজার কর্মীর পরিবারের অন্তত আড়াই লাখ মানুষের জীবনে এক চরম বিপর্যয় তৈরি করা হচ্ছে। এমন এক সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো, যখন করোনার ভয়ঙ্কর অভিঘাতের ফলে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এই চাকরিচ্যুতির আগেও দফায় দফায় শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হয়েছে তাদের বকেয়া মজুরি আদায়ের দাবিতে। তথাকথিত ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ রাষ্ট্রটি তার অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করা নাগরিকদের বেতন মাসের পর মাস বাকি রেখেছিল। এখন সেই শ্রমিকদের ওপর নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়।
তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবির পাশাপাশি পাটকল শ্রমিকদের যে কোনো কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানান ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম