শিরোনাম
১৩ আগস্ট, ২০২০ ১৯:২৯

উত্তরায় প্রাইভেটকারে ফেনসিডিলসহ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

উত্তরায় প্রাইভেটকারে ফেনসিডিলসহ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারে লক্ষাধিক টাকার ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বুধবার আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেলহাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৪৮ রবীন্দ্র স্মরণীর কিডস অ্যান্ড ফ্যামিলি নামে একটি দোকানের সামনের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তায় প্রাইভেট কার ও মাদকদ্রব্যসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় গ্রেফতার আনোয়ারসহ আরও একজনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

মামলার আসামি আনোয়ার তুরাগ থানার ধরঙ্গার টেকের আবদুল আজিজের ছেলে। আর পলাতক অপর আসামির নাম মো. নাজমুল হাসান। তিনি উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা আবুল হাসেমের ছেলে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উত্তরার পশ্চিম থানাধানী ৭ নম্বর সেক্টরের ওই এলাকায় অবস্থান নেয়।  এ সময় একটি প্রাইভেটকার ঘটনাস্থলে আসলে সেটি গতিরোধ করা হয়। প্রাইভেটকারটি তল্লাশি চালিয়ে চালকের সিটের পাশে সিনথেটিক ব্যাগের মধ্যে কোডিনযুক্ত ফেনসিডিলের ২০টি বোতল পাওয়া যায়। এ সময় অপর একটি সিনথেটিক ব্যাগের মধ্যে আরও ৩০ বোতল ফেনসিডিল ও সিগারেটের প্যাকেটে ভেতর বিশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

প্রাইভেটকারটি আসামি আনোয়ার হোসেন চালাচ্ছিলেন। এ সময় তাকে আটক ও প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার হোসেন জানান, উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ২৫ নম্বর রোডের একটি বাসায় নাজমুল হাসান তার দখলীয় অফিস কক্ষ থেকে তাকে এসব মাদকদ্রব্য সরবরাহ করেছে। নাজমুলের ওই অফিস কক্ষে আরও ফেনসিডিল মজুদ রয়েছে।

পরে আসামি আনোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় নাজমুলের উত্তরার ওই অফিস কক্ষে অভিযানে যায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ১২ তলা বিশিষ্ট ওই ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নাজমুলের দখলীয় অফিস কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়। পরে অফিস কক্ষের একটি ড্রয়ারে সিনথেটিক ব্যাগের মধ্যে কোডিনযুক্ত ৩০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।  সেখান থেকে ২০ গ্রাম গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। 

এ সময় ঘটনাস্থলে নাজমুলকে না পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরে মাদকদ্রব্য আইনে আনোয়ারকে এক নম্বর ও নাজমুলকে দুই নম্বর আসামি করে উত্তরা পশ্চিত থানায় মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

সেই মামলায় বুধবার আসামি নাজমুলকে পলাতক দেখিয়ে এক নম্বর আসামি আনোয়ারকে সিএমএম কোর্টে হাজির করা হয়। আদালতে জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর