ঢাকা-৫ আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে অনেক আগেই। আগামী ১৭ অক্টোবর এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। তবে উপনির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু না হলেও এখানে থেমে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। রাস্তাঘাটে, দেয়ালে বিলবোর্ড ও পোস্টার সাঁটিয়ে প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন কেউ কেউ।
ঢাকা-৫ আসনে গত সংসদ নির্বাচনে হাবিবুর রহমানের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির নবীউল্লাহ নবী। এবারও বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তাকেই বেছে নেওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরাও মনে করছেন, হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে হলে তার বিকল্প নেই। কারণ গত নির্বাচনে বিএনপির অনেক প্রার্থী রাজপথেই নামেননি। ফলাফলে অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়। অথচ তিনি প্রায় ৭০ হাজার ভোট পান। এই আসনে বিএনপি প্রার্থী নবীউল্লাহ নবী ছিলেন পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তফসিল ঘোষণার পরপরই চষে বেড়িয়েছেন গোটা নির্বাচনী এলাকা। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগও তার নির্বাচনী প্রচারণা দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলেন। সব মিলিয়ে এবারের উপ-নির্বাচনে নবীউল্লাহ নবীই যে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নবী উল্লাহ নবী বলেন, ইতিমধ্যে এই আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সামনের উপ-নির্বাচনে দল অংশ নিবে কি না সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে আমি পুরোপুরি প্রস্তুত।
নবী উল্লাহ নবী আরও বলেন, বরাবরই আমি মাঠে সক্রিয় আছি। গত নির্বাচনের পর থেকে অত্র এলাকায় আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার হয়েছে। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রমে আমরা সক্রিয় ছিলাম। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই অত্র ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। পরিশেষে এটাই বলতে চাই দল যদি উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, আমি প্রার্থী হিসেবে পুরোপুরি প্রস্তুত।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত