করোনা পরিস্থিতিতে রংপুরে যানবাহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালতসব সব কিছু স্বাভাবিক হলেও চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। অনেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখনও চেম্বারে বসছেন না।
রোগীর পরীক্ষা নিরিক্ষার কাগজপত্র ওই ডাক্তারের চেম্বারের পিয়ন অথাবা বয় পর্যায়ের লোক দেখে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে তা চিকিৎসককে জানান। চিকিৎসক সে অনুয়ায়ি ব্যবস্থা পত্র দিচ্ছেন। এতে হিতে বিপরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, রমেক হাসপাতালেও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রংপুরের চিকিৎসকরা চেম্বারের আসা বন্ধ করে দেন। পর্যায়ক্রমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আদালত ও যানবাহন চলাচল শুরু হলে জীবনযাত্রায় কিছুটা স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে। দূরপাল্লা ও আঞ্চলিক বাস চলাচল শুরু করলে বিভিন্ন প্রয়োজনে অন্য জেলা থেকেও মানুষজন আসছে রংপুর শহরে।
সব কিছু ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করলেও চিকিৎসা সেবা করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথমে যে অবস্থায় ছিল এখনও সেই অবস্থায় রয়ে গেছে। ডায়াগনেস্টিক সেন্টারগুলো রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করলেও কাঙ্খিত চিকিৎসক পাচ্ছেন না রোগীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশেষা চিকিৎসকরা ভার্চ্যুয়াল অথবা টেলি মেডিশিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিচ্ছেন। ডাক্তরের চেম্বারে বয় কিংবা পিয়ন পর্যায়ের লোক রোগীর পরীক্ষা নিরিক্ষার কাগজপত্র দেখে তা ভার্চ্যুয়াল কিংবা টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসককে জানাচ্ছেন। এতে অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে সঠিক রিপোর্ট আসছে না। ফলে অনুমান নির্ভর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে রোগীকে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বাইরে কিছু কিছু চিকিৎসক রোগীদেও সেবা দিলেও ওইসব চিকিৎসক রোগীদেও আস্থা অর্জন করতে পারেননি। ফলে ওই সব চিকিৎসকদেও চেম্বার খোলা থাকলেও রোগীর সংখ্যা নেই বললেই চলে।
লালমনিরহাট থেকে আসা রোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি যে চিকিৎসকের কাছে এসেছিলেন সেই চিকিৎসকের চেম্বার বন্ধ থাকায় অন্য এক চিকিৎসকের কাছে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেন। কিন্তু ওই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
রংপুর নগরীর হুমায়ুন নামে এক রোগীর স্বজন জানালেন, সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও রংপুরে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেম্বারে না থাকায় তিনি তার স্বজনের চিকিৎসা করাতে পারছেনা। তিনি এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা.হিরন্ব কুমার রায় বলেন, সব কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা চেম্বারের না বসাটা দুঃখজনক। এনিয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ