নারায়ণগঞ্জে মসজিদে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় সাভারের আশুলিয়ায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রভাবশালীদের ঝুঁকিপূর্ণভাবে দেওয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ খুব জোরে শোরে বিছিন্ন করছে সাভার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। নিম্ন মানের পাইপ ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই তারা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করছে।
এর ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করেন সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (জোবিঅ) প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম। এসময় ওই ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার বাসা বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা হয়। সংযোগ বিছিন্নকরণে তিতাসের প্রায় পঞ্চাশ সদস্যের একদল শ্রমিক অংশ নেন।
সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (জোবিঅ) প্রকৌশলী আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার করে টাকা নিয়ে নিম্ন মানের পাইপ দিয়ে তিাসের মূল সংযোগ লাইন থেকে গ্যাস লাইন অবৈধভাবে দেন বিভিন্ন বাড়িতে। নিম্ন মানের গ্যাস লাইনের পাইপগুলো ফেটে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করে ছিল এলাকাবাসী। দুর্ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য আজ সকাল থেকে ওই সব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে প্রায় ১২টি মামলা দায়ের করা হয় সাভার ও আশুলিয়া থানায়। এসব মামলায় আসামি করা হয় প্রায় দুই হাজারেরও বেশি অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে। মামলায় অনেক সময় অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীরা গ্রেফতার হলেও আদালত থেকে জামিনে এসে আবারও বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, এক সংযোগ লাইন থেকে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়বার গ্যাসের লাইন কেটে দিলেও দুর্বৃত্তরা আবারও মাটি খুঁড়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেন। সাভার ও আশুলিয়ার সব অবৈধ গ্যাস লাইন পর্যায়ক্রমে বিচ্ছিন্ন করা হবে। নিয়মিত এ অভিযান মাসজুড়ে চলবে। সংযোগ যারা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে।
এলাকাবাসী বলছে, অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে সঠিক আইনের প্রয়োগ হলে এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ হবে। তা না হলে তিতাসের অভিযান কাজে আসবে না।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা