বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তিব্বত
- শিরোপা জয়ের খুব কাছে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত ইয়ামাল
- ‘ভীতিকর’ গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে মোদিকে ফোন করেন জেডি ভ্যান্স, থামে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ
- এল ক্লাসিকোতে শতবর্ষের ইতিহাস ভেঙে নতুন গল্প
- আইপিএলে অনিশ্চয়তায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা
- দিল্লির গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়: আসিফ মাহমুদ
- এল ক্লাসিকোতে হ্যাটট্রিক করে এমবাপ্পের নতুন রেকর্ড
- তুরস্ক যে কারণে ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়
- ব্যক্তি বা সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
- 'রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ. লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো'
- তীব্র তাপদাহে আক্রান্তদের জন্য মহাখালীতে হিটস্ট্রোক সেন্টার চালু
- কর ফাঁকির সুযোগ নেই, সবাইকে কর দিতে হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
- ১৫ বা তার কম বয়সেই যৌন সহিংসতার শিকার প্রতি পাঁচজন নারীর একজন
- কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত
- কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
- কলমাকান্দায় রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তি উদ্ধার
- আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের
- উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ববিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
- আল-নাসর ছাড়ার পথে রোনালদো?
- পুঁজিবাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার পাঁচ নির্দেশনা
রাজশাহীতে অপহরণকারী চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীতে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে তাদের পবা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পবা থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। বিকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অপহরণের শিকার ব্যক্তি হলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হক (৪৩)। আর গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী চক্রের চার সদস্য হলেন- পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের নার্গিস নাহার (৫৫) ওরফে হেলেন, রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম (৩০), বোয়ালিয়া থানার অলোকার মোড় এলাকার আতিকুর রহমান বাপ্পী (২৮) এবং চন্দ্রিমা থানার হজোর মোড় এলাকার হামিম আল ফজলে নূর ওরফে শুভ্র (২৮)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আবদুল হক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার চাচাকে দেখতে যান। এসময় সেখানে অপহরণকারী চক্রের সদস্য নার্গিস নাহার ওরফে হেলেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর হেলেন আবদুল হকের কাছে তার মোবাইল ফোন নম্বর নেন। এর পরের দিন ২০ নভেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে হেলেন বেশ কয়েকবার আবদুল হককে ফোন করেন। দুপুর ১২টার দিকে হেলেন রাজশাহী মহানগরীর বায়া বাজারে আবদুল হককে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। আবদুল হক হেলেনের ডাকে সাড়া দিয়ে বায়া বাজারে আসেন। এসময় হেলেন কৌশলে একটি অটোরিকশায় আবদুল হককে উঠিয়ে নেন। এরপর আবদুল হককে নিয়ে হেলেন তার পবা উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে চলে যান।
এরপর সেখানে হাজির হন অপহরণকারীচক্রের আরও তিন সদস্য রফিকুল, বাপ্পী ও শুভ্র। তারা আবদুল হককে নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে অপহরণকারীচক্রের সদস্যরা নিজেদের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে আবদুল হকের স্ত্রী রহিমা বেগমের কাছে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে একলাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হবে, নতুবা মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।
এসময় আবদুল হকের স্ত্রী তার নম্বরে ২০ হাজার টাকা বিকাশে দেন। অপহরণকারীরা আবদুল হকের মোবাইল ফোন নিয়ে বাইরে গিয়ে ২০ হাজার টাকা ক্যাশ আউট করেন। এরপর গত শনিবার রাত নয়টার দিকে অপহরণকারীরা পবা উপজেলার করমজার মোড়ে মোটরসাইকেলে করে আবদুল হককে নামিয়ে দেয়।
আরএমপির মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃত চার অপহরণকারী সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এদের বিরুদ্ধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় আরও দুইটি মামলা আছে। অপহরণের ঘটনায় আবদুল হকের স্ত্রী রহিমা বেগম পবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপহরণকারীচক্রের চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর