২৮ নভেম্বর, ২০২০ ২১:০১

বিএসএমএমইউ’র চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

অনলাইন ডেস্ক

বিএসএমএমইউ’র চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

একটি কিডনি অপসারণের কথা বলে দুই কিডনি অপসারণের ঘটনায় রওশন আরা (৫৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় রওশন আরার ছেলে মো. রফিক শিকদার বাদী হয়ে চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল (৫৫), একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন (৪৮), চিকিৎসক মো. মোস্তফা কামাল (৪৬) ও চিকিৎসক আল মামুনকে (৩৩) আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চার জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দুই বছর পর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে নিহতের ছেলে রফিক সিকদার শাহবাগ থানায় মামলা করেন। নিহত রওশন আরার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে (নম্বর- ১৬৪৪/১৮) বিশেষজ্ঞরা কারণ উল্লেখ করেন, অল অরগান ড্যামেজ হওয়ার কারণে রওশন আরার মৃত্যু হয়েছে এবং তার দুটি কিডনিই সার্জিক্যালি অপসারণ করা হয়েছে।

এদিকে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর রওশন আরার মৃত্যুর একদিন পর ওই বছরের ১ নভেম্বর তার ছেলে রফিক শিকদার শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর-৫৩) করেছিলেন। এরপর শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চম্পক মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

ভুক্তভোগী রওশন আরার ছেলে রফিক শিকদার জানান, একটি কিডনিতে সংক্রমণ নিয়ে ২০১৮ সালের ১ জুলাই মা রওশন আরাকে ভর্তি করান বিএসএমএমইউ’তে। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানোর কিছুদিন পর ফের হাসপাতালে ডেকে জানানো হয় মায়ের বাম কিডনি ফেলে দিতে হবে। পরে ওই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের পর কিডনিটি ফেলে দেয়া হয়। পরে অন্য একটি হাসপাতালে পরীক্ষা করে জানতে পারেন রোগীর ডানপাশের কিডনিও ফেলে দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। 

রফিক শিকদার বলেন, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান লিখিতভাবে অপরাধ স্বীকার করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন নিজ খরচে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবেন। কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করেছেন। অন্যদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউয়ের লাইফ সাপোর্টে কোমায় ফেলে রাখেন মাকে। সেখানে গত ৩১ অক্টোবর রাতে মায়ের মৃত্যু হয়।

শনিবার শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন অর রশিদ বলেন, নিহত রওশন আরার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছিল। সম্প্রতি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিয়েছে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি হত্যা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তবে এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর