পোশাক কারখানা মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবিলায় আরো প্রণোদনা ও ঋণ সুবিধা চেয়েছে। সোমবার ‘কোভিড-পূর্ববর্তী এবং চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে পোশাক শিল্পের বাস্তবতা’ শিরোনামে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক এ দাবি জানান।
সংগঠনটি মনে করছে, লাখ লাখ শ্রমিকের এই শিল্পকে যাতে কোনোভাবে বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হতে হয় সে জন্য তাদের এই প্রণোদনা প্রয়োজন। গত মার্চে দেশে করোনা আঘাত হানে। তখন সরকারের পক্ষ থেকে ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়। পরে তা বৃদ্ধি করে এপ্রিল-জুলাই মাসের শ্রমিকের বেতনের সব টাকার ব্যবস্থা করা হয়।
এছাড়া বড় শিল্পের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য আরো ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রণোদনার অধিকাংশ অর্থই পোশাক খাতে বণ্টন হয়েছে।
প্রণোদনা বলতে ঠিক কী চাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, যে ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর মেয়াদ ২ বছরের স্থলে ৫ বছর করা হোক। গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাসের পরিবর্তে ১ বছর করুক। এছাড়া আমাদের একটি নীতি সহায়তা খুব প্রয়োজন। আবার অনেক ক্রেতা দেউলিয়া ঘোষণা করায় পেমেন্ট আটকে গেছে। সে ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চাচ্ছি।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ক্রয়াদেশ বাতিল হয়নি। এরপরও কেন প্রণোদনা চাওয়া হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়নি ঠিকই। কিন্তু গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ হারে ক্রয়াদেশ কমেছে। পণ্যের দাম কমেছে। এ জন্য প্রণোদনার প্রয়োজন। আমরা সেটা আবার ফেরত দিয়ে দেব। শুধু টিকে থাকার জন্য এগুলো চাচ্ছি।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক