ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, যত বাধা আসুক রাস্তার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চলবে। তদবির করে উচ্ছেদ অভিযান ঠেকানো যাবে না।
সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি আজ বুধবার দুপুরে নগরীর বাসাবো খাল, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল এবং কালু নগর খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
ডিএসএসসি মেয়র বলেন, আপনার লক্ষ্য করেছেন আমরা মানবসৃষ্ট সকল বর্জ্য অপসারণ করছি। যেমনি খাল থেকে করা হচ্ছে তেমনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকেও দুর্নীতি মুক্ত করা হচ্ছে। সুতরাং সকল প্রয়োগে, বর্জ্য বলতে যত প্রয়োগ আছে, সকল বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলছে।
অবৈধ দখল-উচ্ছেদে বাধা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নে সকল বাধা মোকাবিলার দৃঢ়তা প্রকাশ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু আমরা দৃঢ়তা ও সংকল্প নিয়েই এই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এগারোটি খালসহ আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হস্তান্তর প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে। আমরা সেজন্য বসে নেই। আমরা খালগুলোকে এই মৌসুমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দখলমুক্ত করতে চাচ্ছি। গত সপ্তাহে আমরা জিরানি খাল হয়ে বাসাবো খাল পরিদর্শন করেছি। এখন আমরা আজব বুড়িগঙ্গা চ্যানেল লোকাল নগর খাল পরিদর্শনে এসেছি। আমরা কার্যক্রম আরম্ভ করে দিয়েছি। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সীমানা নির্ধারণ করব। সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলমুক্ত করব এবং পরবর্তীতে আমরা এই জায়গাগুলোতে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে ডিএসএসসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, আমরা আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার করব এবং এখানে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করব।
খালগুলো দখলমুক্ত করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনাকে বিশাল কর্মযজ্ঞ আখ্যা দিয়ে মেয়র বলেন, কিন্তু আমরা বসে নেই। আমরা প্রথম দিন থেকেই কাজ আরম্ভ করেছি। একাজে আমাদের প্রাথমিক মূল প্রতিকূলতা হলো খালগুলোকে বর্জ্য ফেলে বন্ধ করে ফেলা হয় পানি প্রবাহ থাকে না। সেজন্য আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খালগুলো পরিষ্কার এবং যেখানে যেখানে সীমানা নির্ধারণ করে যেখানে বেড়া (ফেন্সিং) দেওয়া প্রয়োজন হবে আমরা সেখানে বেড়া দিয়ে দেবো।
পরে ডিএসসিসি মেয়র ২২ ও ২৯নং ওয়ার্ডের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রের (কমিউনিটি সেন্টার) চলমান নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন/আরাফাত