লঞ্চ দুর্ঘটনার মামলায় ঢাকার মেরিন আদালতে দুই লঞ্চ মাস্টারের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকেরা। সোমবার (২৫ জানুয়ারী) বেলা ২টার দিকে তারা এই ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়ে তা পালন শুরু করেন। তবে নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭টি রুটে চলাচলকারী লঞ্চ গুলোতে ওই ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়েনি।
ঢাকায় আন্দোলনরত নৌযান শ্রমিকনেতারা বলছেন, লঞ্চ মাস্টার রুহুল আমিন ও জামাল হোসেনের জামিন না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। তারা আরও জানান, গত বছর শীত মৌসুমে মেঘনায় ঘন কুয়াশায় ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী একই কোম্পানির অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুটি লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও লঞ্চ দু'টির মাস্টারসহ চারজনের সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করা হয়। আজ সোমবার ওই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে রুহুল আমিন ও জামাল হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠান বিচারক। এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৭টি রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ রুটে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬-৭ টা পর্যন্ত ২০ মিনিট পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়। এই রুটে ২৫টি লঞ্চ চলাচল করে। নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুর রুটে ১৫টি, মতলব-মাছুয়াখালী রুটে ১৯টি, হোমনা-রামচন্দ্রপুর ১টি, ওয়াবদা, সুরেশ্বর-নরিয়া (শরিয়তপুর) কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করে থাকে। তবে এসকল রুটের মধ্যে সন্ধ্যার পরে ২টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে থাকে।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (নৌ নিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য জানান, ঢাকায় লঞ্চ শ্রমিকরা আকস্মিক ধর্মঘটের ডাক দিলেও এর প্রভাব নারায়ণগঞ্জে পড়েনি। সবগুলো রুটেই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ