বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি
- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন
- জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর
- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
- আমেরিকা থেকে এলো গমবোঝাই জাহাজ
- এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
- চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা’র নির্বাচন ৫ ডিসেম্বর
- কেদারপুরে যুব সমাজের স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত
- মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
- টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
- সিরাজগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
- টাঙ্গাইলে গ্রামীণ রাস্তায় জনদুর্ভোগ, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও পাকাকরণ হয়নি
- কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
- নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
- সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা
- তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি
- বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
- নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
গ্রাহকের টাকা তুলে নেওয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
গ্রাহকের হিসাব থেকে ছয় লাখ টাকা তুলে নেওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের এক কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন মামলাটির বাদী।
মামলার আসামির নাম আহসান হাবীব নয়ন। তিনি অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহীর গোদাগাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।
সাবের আলী নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ছয় লাখ টাকা ব্যাংক থেকে কৌশলে তুলে নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী শাখা এবং অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের তদন্তে বিষয়টি ইতোমধ্যেই উঠে এসেছে।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগের অনুসন্ধান তারাও করেছেন। অভিযোগ সঠিক হওয়ায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
দুদক অনুসন্ধান করে দেখেছে, ছয় লাখ টাকা উত্তোলনের এক সপ্তাহ আগে তৎকালীন ব্যবস্থাপক আহসান হাবীব নয়ন গ্রাহক সাবের আলীকে অবহিত করেন যে, তার ঋণ হিসাবটি শূন্য করার জন্য একটি ফাঁকা চেক প্রয়োজন। এ জন্য আহসান হাবীব নয়ন ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী আফজাল হোসেনকে ১৬ জুন সাবের আলীর পাড়িতে পাঠান। সরল বিশ্বাসে ওই চেকটি দিয়েছিলেন। নিরাপত্তা প্রহরী চেকটি এনে শাখা ব্যবস্থাপক নয়নকে দেন। এরপর নয়ন চেকে নিজ হাতে ছয় লাখ টাকার পরিমাণ লেখেন। ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আবু বকর সিদ্দিক চেকের প্রথম ক্যানসেলেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকলেও তাকে এড়িয়ে নয়ন নিজেই চেক ক্যানসেলেশন করে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে ক্যাশ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামানকে চেকটি দিয়ে টাকা তার কক্ষে আনতে বলেন। আকতারুজ্জামান চেকটি সিডি ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিকের হাতে দেন। এ সময় আবু বকর সিদ্দিক চেকটি কম্পিউটারে পোস্টিং করে ক্যানসেলেশন করে পুনরায় আকতারুজ্জামানকে দেন। এরপর আকতারুজ্জামান চেকটি ক্যাশ করে ছয় লাখ টাকা ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক নয়নের কক্ষে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে দেন। এভাবে নয়ন গ্রাহকের টাকা আত্মসাত করেন। পরবর্তীতে অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে তার অপরাধ প্রমাণিত হলে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি তিনটি জমা ভাউচারে সাবের আলীর হিসাবে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেন। ভাউচারগুলো হলো- ০৯৩৬৫১৪, ০৯৩৬৫১৫ ও ০৯৩৬৫১৬। এই টাকা ফেরত দিয়ে তিনি নিজেই তার অপরাধকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে দুদক মনে করে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে এই নিয়মিত মামলা করা হলো।
জানা গেছে, আসামি আহসান হাবীব নয়ন রাজশাহী মহানগরীর বহরমপুর ব্যাংক কলোনীর বাসিন্দা। তার বাবার নাম হারেজ উদ্দিন। গ্রাহকের টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা প্রমাণিত হলেও তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি। তবে বিষয়টি জানাজানির পর তাকে গোদাগাড়ী শাখা থেকে বদলি করা হয়। বর্তমানে রাজশাহীতেই তিনি অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএমের কার্যালয়ে প্রিন্সিপাল অফিসার পদে কর্মরত আছেন। শাখা ব্যবস্থাপক থাকার সময়ও তিনি এই পদে ছিলেন।
এই বিভাগের আরও খবর