রাজধানী ঢাকার উত্তরখান থানার বড়বাড়ি এলাকায় এক নারীকে পিটিয়ে আহত ও গর্ভের সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে করা মামলায় আরিফুল ইসলাম প্রিন্স নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নিজেকে উত্তর খান থানার ৪৪নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের নেতা বলে পরিচয় দেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে আদালতে পাঠানোর পর বিকালে কেরাণীগঞ্জ জেলখানায় পাঠানো হয় তাকে।
সূত্র জানায়, গ্রেফতার ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোর করে ঘরে প্রবেশ, পরিকল্পনা অনুযায়ী মারপিট, গর্ভাবস্থায় শিশু সন্তান হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১০ বছর ধরে পারিবারিক একটা ঝামেলা ছিল। বৈঠক করে কাউন্সিলরের মাধ্যমে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটল। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়। পরে কেরাণীগঞ্জে নেওয়া হয়েছে।’
ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী নারী ফারহানা আফরোজ লিপি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার ননদের স্বামী আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বেকার ও ভবঘুরে। আমার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর আমার স্বামীর সম্পদ দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে আমার স্বামী ও আমাকে মারধর ও নির্যাতন করে। এ বিষয়ে আমি ও আমার স্বামী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উত্তরখান থানায় জিডি করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রিন্স আমার স্বামী ও আমাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা আঁটেন। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৪ ফেব্রুয়ারি আমাকে বাসায় একা পেয়ে হামলা চালায়। আমার বাসায় ঢুকে মোটা কাঠের লাঠি দিয়ে আমার মাথা সজোরে আঘাত করে। আমি সরে গেলে আমার হাতে লাগে ও আমার হাত ভেঙে যায়। তখন আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রিন্স আমার পেটের সজোরে লাথি মারে। লাথি মারার সাথে সাথে বলতে থাকে তোর পেটের সন্তানকে এই পৃথিবীতে আসতে দিব না। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরবর্তীতে আমি নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পাই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার আমাদের জানায়, আমার পেটের সন্তানকে আরিফুল হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আমি তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার শিশুহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
ওই নারীর স্বামী মিরাজ উদ্দিন সুমন বলেন, 'প্রিন্স নিজেকে যুবলীগের নেতা দাবি করে। সে আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করে ফেলেছে। আমি আমার সন্তান হত্যার উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ