আগামী ২৬শে মার্চের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা না হলে সারাদেশে সরকার পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি(ভিপি) নুরুল হক নুর। শুক্রবার (৫ মার্চ) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এর আওতায় গ্রেফতারকৃত সকলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ আইন বাতিল না হলে জাতীয় সংসদও ঘেরাও করা হবে বলে সমাবেশে জানান নুর।
লেখক মুশতাকের রক্ত বৃথা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন বেগবান হয়েছিল ছাত্র জনতার আপোষহীন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এবং শহিদ জয়নাল সিপাহী, ডাঃ মনোয়ার হোসেনের রক্তের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আজকের মুশতাকের রক্তের মধ্য দিয়ে এ সরকারের পতন হবে।
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে নুর বলেন, আহমেদ কবির কিশোর তার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন মুশতাকের শরীর থেকে প্রস্রাবের কড়া গন্ধ আসছিল। তাকে প্রচুর পেটানো হয়েছে। তার যৌনাঙ্গে ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়েছিল।
এসময় বিক্ষোভকারীরা 'বাঁশের লাঠি তৈরি করো, বাংলাদেশ রক্ষা করো, 'স্বৈরাচার হটাও, দেশকে বাচাঁও' প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সকল অন্যায় প্রতিরোধে নুর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আহবান জানান। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, দেশে একটি ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এটাই একমাত্র ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা নয়, এর আগে যারা ছিল তারাই এই ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থার বীজ বপন করে গেছে। তারা এই ধরনের আইন তৈরি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের অপকর্ম, অনাচার-দুর্নীতি, টাকা পাচারের কথা আমরা যারা আলোচনা করি, সমালোচনা করি, এই রাষ্ট্র, এই সরকার তাদেরকে নিয়েই ভীত। কিন্তু যারা এই কাজগুলো করছে তারা সরকারের ছত্রছায়ায়।
সমাবেশে শাহবাগের মশাল মিছিলে আটককৃত সাত শিক্ষার্থীর আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা লিপি, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত সহ ছাত্র ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতারা বক্তব্য দেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত