নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আসছে ঈদুল ফিতর। এই ঈদের পরই কিছু মানুষের মুখোশ উন্মোচন করব। রোজার মাস চলছে, কবে মরে যাই তাও জানি না। আল্লাহ যদি ঈদের পরে সবাইকে সুস্থ রাখেন তাহলে নারায়ণগঞ্জের কিছু সত্য কথা বলব, কিছু সত্য জিনিস তুলে ধরব এবং কিছু মানুষের মুখোশ খুলব। তার পরে দেখা যাক, আল্লাহ কয়দিন বাচাঁয় রাখল। জীবনে যেমন এসেছি সরবে তেমন চলে যাবো নীরবে। একইভাবে রাজনীতিতে আসছি সরবে, দরকার পরলে চলে যাব নীরবে। কিন্তু যাওয়ার আগে অনেকের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়ে যাব।
শুক্রবার জুমার নামাজ ও দোয়ার পর বড় ভাই সাবেক এমপি নাসিম ওসমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জুমার নামাজের আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর কবরস্থান মসজিদে বড় ভাই সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে কথা বলেন তিনি। মসজিদে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার চালচলন, আচার-আচারণে কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন। রাজনীতি করি, তাই অনেক সময় অনেক কথা বলতে হয়। অনেকে হয়ত কষ্ট পেয়ে যান। মরে গেলে আমার জন্য হয়ত জীবিতরা ক্ষমা চাইতে পারবে। তাই বেঁচে থাকতে আপনাদের সকলের কাছে আমার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যেকোনো ভুল বা কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দেবেন। আমি সব সময় ক্ষমা চাই। আল্লাহ বলছেন, তুমি ক্ষমা চাও, আমি ক্ষমা চাইলে খুশি হই।’
তিনি বলেন, ‘করোনা আসছে আমাদের শিক্ষা দিতে। আল্লাহ বান্দাদের বোঝাতে চাচ্ছেন, কে আসলে প্রকৃত ক্ষমতাবান। দুনিয়ার বাহাদুরিতে কোনো বাহাদুরি নেই। মরে গেলে আপনার-আমার পরিচয় লাশ। অহংকার মাটির সাথে মিশে যাবে। কত মানুষ-ই তো ক্ষমতাবান ছিল। আজ তো তারা নেই। তারপরে আমাদের শিক্ষা হয় না। এক করোনা ভাইরাস এলো। এরপরেও আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ ভালো হতে পারল না। কারো সম্পত্তি দখল করি, অহংকার করি। তাই সময় আছে, বেঁচে থাকতে তওবা করুন। আর মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ