এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রদর্শন করার সুযোগ একটি নিদিষ্ট সময়ের জন্য সরকার দিতে পারে। তবে এটি কোনো দীর্ঘ মেয়াদে নয় বরং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকার যদি দেয় তাহলে উপকার হবে। তবে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সুবিধা দেওয়া হলে সেখানে প্রকৃত করদাতারা বঞ্চিত হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে ‘২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট’ পর্যালোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এফবিসিসিআই প্রধান বলেন, কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পরেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের প্রায় ৩০ শতাংশ বিতরণ হয়নি। আমরা বাকি বিতরণ ও নতুন আরেকটা প্যাকেজ ঘোষণার অনুরোধ করছি।
এসময় মূল্য সংযোজন কর আইন সহজীকরণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং এফবিসিসিআইয়ের সমন্বয় টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানান জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিদ্যমান মন্দা পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক আর্ধ-সামাজিক পরিবেশের তাৎক্ষণিক, স্বল্পমেয়াদি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শুল্ক ও কর কাঠামো সংস্কার করে একটি জনবান্ধব এবং উৎপাদনশীল রাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির, ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান মাহমুদ, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্যাহ ডন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক