সুস্বাদের কারণে হাঁড়িভাঙ্গা আম সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশের অন্যান্য স্থানের আম যখন শেষ হওয়ার পথে তখন এই আম বাজারে পাওয়া যায়। আনুষ্ঠানিভাবে হাড়িভাঙ্গা আম গাছ থেকে পাড়া ও বিক্রি শুরু হবে ২০ জুন (রবিবার) থেকে। ঝড়-বাদলে কিছুটা ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরা ভালো দামের আশা করছেন। শ্যামপুরের আম চাষি সামছুজ্জামান বলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। তবে করোনার কারণে দাম কতটুকু পাওয়া যাবে, এ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসক আসিব আহসান মিঠাপুকুরে আমচাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে বলেন, ২০ জুন থেকে হাঁড়িভাঙ্গা আম বিপণন শুরু হবে। রংপুর নগরীর লালবাগ বাজার থেকে এই বিপণন প্রক্রিয়া শুরু হবে। রংপুরে এবার দেড় হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে হাঁড়িভাঙ্গা আমের আবাদ হয়েছে।
এদিকে আমচাষি ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুস্বাদু এই আম বেশি দিন সংরক্ষণ করতে না পারায় বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। চাষিরা আম সংক্ষণের জন্য দীর্ঘদিন থেকে একটি সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আবু সায়েম জানান, দেশের অন্যান্য স্থানের আম শেষ হয়ে যাওয়ার পর হাড়িভাঙ্গা আম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে। সংরক্ষণের কারণে এই আম বিদেশে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ