সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন আতিকুর রহমান খান শান্ত। সে সময় সেখানে নৌকা পান চার বারের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম খান। তবে আনারস প্রতীক নিয়ে নৌকা ডুবিয়ে চেয়ারম্যান হন শান্ত।
চেয়ারম্যান হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর চালান স্টিম রোলার। হামলা-মামলা দিয়ে করেছেন ঘর ছাড়া। সরকারি ৪০ লাখ টাকার চাল চুরির ঘটনায় আতিকুর রহমান খান স্থানীয় মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার হয়। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং বিআইডব্লিউর জায়গা জোর করে দখল করায় সরকার বাদী হয়ে মামলা করে।
এবার সেই বির্তকিত ব্যক্তিকে ইউপি নির্বাচনে নৌকা দিতে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছেন সাভার থানা ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বিদ্রোহীদের সুপারিশ না করার জন্য কেন্দ্রের নির্দেশনা থাকলেও সেটাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখানো হয়েছে। গতবার নৌকা পাওয়া। চার বারের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের নাম নেই এবারের তালিকায়। উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা নেতাদের কারসাজিতে বাদ পড়েছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের এই নেতা।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভিযোগ, সাভার আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার চাহিদা মেটাতে সক্ষম না হওয়ায় তালিকায় নাম নেই জনপ্রিয় ব্যক্তিদের।
আতিকুর রহমান খান শান্তর বিরুদ্ধে স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি দিয়েছেন ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আগা খান মিন্টু। এখানে উল্লেখ থাকে যে সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়ন আগা খান মিন্টুর নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়ে এবং তিনি এই ইউনিয়নের ভোটার। সম্প্রতি সরকারি ৪০ লাখ টাকার চাল চুরির ঘটনায় আতিকুর রহমান খান স্থানীয় মন্ত্রণালয় কর্তৃক সাময়িক বহিষ্কার হন। তবে তদবির করে আবার স্বপদে বহাল হয়। তার বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া যায়।
এর আগে এই শান্ত চেয়ারম্যান সরকারি কাজে বাধা এবং বিআইডব্লিউর জায়গা জোর করে দখলের কারণে সরকার বাদী হয়ে মামলা করে। তবে অদৃশ্য শক্তির জোড় খাটিয়ে প্রতিবার পার পেয়ে কাউন্দিয়ায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। এবারও দলীয় প্রার্থী হতে নমিনেশন পেপার কিনেছেন, তবে তার নাম দলীয়ভাবে কেন্দ্রে পাঠানো হবে কিনা, জানতে চাইলে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন