নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, যাদের কাছে আমাদের অভিযোগ করার কথা তারাই নির্বাচনকে কলুষিত করছে এবং সুষ্ঠু পরিবেশে বাধা সৃষ্টি করছে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন এবং যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের দেখেন। দেখবেন তাদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত থেকে আমি কাগজ নিয়ে এসেছি। গত বছরের হেফাজতের মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন দেখা যায় ছাত্রলীগও হেফাজতের মামলার আসামি, হিন্দুও হেফাজতের মামলার আসামি। মানে হিন্দুরাও হেফাজত করে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় মাসদাইরের মজলুম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
তৈমূর বলেন, যারা আমার নির্বাচনের নানা কাজের দায়িত্বে আছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। সকলকেই হেফাজতের মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ডিসি-এসপি সাহেব বলে আমি অভিযোগ করিনি। এখানে সই করা কাগজ আছে আমার কাছে।
তিনি বলেন, ঘণ্টাখানেক আগে আমাদের চিফ এজেন্ট এটিএম কামালের বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতির বাড়িতেও তারা গেছে এ রকম যে আমাকে সমর্থন করছে তার বাড়িতেই যাচ্ছে। আমরা এতে ভীত না। আমরা মাঠে থাকবো। আমার মৃত্যু হলে নির্বাচনের মাঠেই হবে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইভী বলেছে নারায়ণগঞ্জে কোন বহিরাগত নেই। তৈমূরের বাড়ি রূপগঞ্জ থেকে লোক আসে। আইভীর সমাবেশে রূপগঞ্জ, আড়াইহাজারের এমপিরা নেতৃত্ব দিয়েছে। ছবিই তো তার সাথে যে বহিরাগতরা আছে তা প্রমাণ করেছে। এটিএম কামাল মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে পুলিশ যাবে কেন? আমি যখন নাম দিয়েছি তখন তো বলতে পারতো সে সন্ত্রাসী তাকে এজেন্ট দিয়েন না। আপনারা ভয় পাবেন না। আমার নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে আমিও মাঠে থাকবো। আমরা মাঠে থেকে প্রতিরোধ করবো। বাংলাদেশ বিশ্ব আইনের বাইরে না।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে তৈমূর বলেন, আমি বহুবার অভিযোগ করেছি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজকে বলেছে চারিদিকে ষড়যন্ত্র, আমি একা হয়ে যাচ্ছি। এর মানে তার জনসমর্থন নেই। তাদের একমাত্র ক্ষমতা মামলা। দুই টাকার বলপেন চার আনার কাগজ আর মামলাই তাদের এখন মূল ভরসা। আমার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা আছে। আমি দেশনেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একসাথে জেল খেটেছি। কামাল কী মাদক ব্যাবসায়ী না সন্ত্রাসী। নির্বাচন কমিশন তাদের কমিটমেন্ট ঠিক আছে না নেই তা কালকে দেখবেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি করতে পদ লাগে না। জনসমর্থন লাগে কর্মী বাহিনী লাগে। আমাকে সারা পৃথিবী চেনে। বাধা দিলে বাধবে লড়াই। এটা অনেক পুরানো স্লোগান। বাঙালি প্রতিরোধ করবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত