শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে
আবারও মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পেল ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে আবারও মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ পেলো রাজশাহীর ওই শিশু শিক্ষার্থী। এর আগে, ধর্ষণের শিকার হয়েছিল বলে শিশুটির ভর্তি বাতিল করেছিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে রবিবার (১৩ জানুয়ারী) তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল। আজ সোমবার সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারিয়া পেরেরার নেতৃত্বে একটি দল যায় নগরীর হড়গ্রাম এলাকার ওই মাদ্রাসায়। এসময় মাদ্রাসার পরিচালক হাবিবুল্লাহ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন এবং ওই ছাত্রীকে আবারও পড়ার সুযোগ দিতে অঙ্গীকার করেন।
এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন, রাজপাড়া থানা শিক্ষা অফিসার মিজানুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারিয়া পেরেরা জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তারা ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে মাদ্রাসাটিতে আসেন। এসময় শিশুটির অভিভাবক, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। মাদ্রাসাটির পরিচালক ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি ওই শিশুকে আবারও মাদ্রাসায় পড়ার সুযোগ দিতে অঙ্গীকার করেন। সেইসঙ্গে শিশুটি যেহেতু দরিদ্র পরিবারের তাই তার মাসিক বেতনও মওকুফের কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, রাজশাহীতে আট বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হওয়ায় তার মাদ্রাসায় ভর্তি বাতিলের ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন জেলাপ্রশাসক আবদুল জলিল। গতকাল রবিবার দুপুরে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এরপরই আজ সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আবারও শিশুটিকে মাদ্রাসায় পড়ার ব্যবস্থা করেন।
ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজের কোনো ভিটেমাটি নেই। রেলের জমির বস্তিতে একটি ঘর করে বসবাস করেন। এক সড়ক দুর্ঘটনায় শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে গেলেও শিশুটির বাবা এখন অটোরিকশা চালান। একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়া হিসেবে চাকরি করেন শিশুর মা।
ভুক্তভোগী শিশুর মা বলেন, ২০২০ সালের ২১ মার্চ তিনি ছিলেন হাসপাতালে। ওইদিন বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে এক কিশোর। ধারণ করা হয় ভিডিও। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ ওই কিশোরকে আটক করে। জব্দ করা হয় মুঠোফোন। পরে এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ মার্চ মামলা করা হয়। ওই মামলায় ওই কিশোর এখন কারাগারে।
শিশুটির মা বলেন, ১০ দিন আগে রাজশাহী নগরীর উম্মাহাতুল মু’মিনীন মহিলা মাদ্রাসায় তার মেয়েকে ভর্তি করা হয়েছিল। বেসরকারি এই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু ভর্তির তিনদিন পর তার মেয়েকে মাদ্রাসার গেটের বাইরে বের করে দেওয়া হয়। তারপর গেট লাগিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে তখন কাঁদছিল। পরে মাদ্রাসার পরিচালক তার মেয়েকে দূরে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিতে বলেন। পরে তিনি জানতে পারেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এ কারণে তাকে মাদ্রাসায় রাখা হচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর