বাস ভাড়া নিয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের’ তিনটি বাস আটকে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা কলেজের সামনে বাস তিনটিকে আটকে রাখা হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা একটি বাস নায়েমের গলিতে অন্য দুটি কলেজের সামনের তেলের পাম্পে রেখেছেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাস আটক করে সেখানেই অবস্থান করছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম শিমুল শিকারি। তিনি ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় শিমুলকে মারধর করেন মৌমিতা বাসের হেলপার। তিনি মাথায়, গলা ও পায়ে আঘাত পান। অভিযুক্ত বাসের নম্বর ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৮৮৩৫।
আহত শিমুলের বন্ধু আরিফ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। প্রথমে শিমুলকে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে সিটি স্ক্যান করানোর পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমরা এখন মোহাম্মদপুর থানায় আছি। থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, বাসের সহকারী কর্তৃক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং একই সঙ্গে বেশ উদ্বেগের। এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। আমরা এর আগেও থানায় বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলাম এবং সেখানে বাসচালক বা সহকারীর আচরণ কেমন হবে সে বিষয়ে ইন হাউজ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম। তা করলে এসব সমস্যার সমাধান হতো।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর