গত বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মর্মান্তিক নৌ দুর্ঘটনায় এমভি সাবিত আল হাসান নামের একটি লঞ্চ ডুবিতে প্রাণ হারান নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩৪ জন। সেই দুর্ঘটনায় বন্দর থানায় করা মামলার অভিযোগপত্রে ১৪ আসামির মধ্যে ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে বাদী পক্ষের কোনো আপত্তি আছে কি না জানতে চেয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ মার্চ) দুপুরে অভিযোগপত্র শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুর রহমানের আদালত এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বাদীর প্রতি সমন জারি করেছেন। আগামী ২৬ এপ্রিল বাদীর উপস্থিতিতে এ বিষয়ে ফের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে এ শুনানির বিষয়টি দিনে জানাজানি না হলেও রাতে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসকেএল-৩ কার্গো জাহাজের মাস্টার ওহিদুজ্জামান (৫০), সুকানি আনোয়ার মল্লিক (৪০) ও ইঞ্জিন ড্রাইভার মজনু মোল্লাকে (৩৮) অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আর অভিযোগপত্র থেকে একই কার্গোর গ্রিজার হৃদয় হাওলাদার, ফারহান মোল্লা, সুকানি নাজমুল মোল্লা, লস্কর রাজিবুল ইসলাম, আবদুল্লাহ, নুর ইসলাম, সাকিব সরদার, আফসার, সাগর হোসেন, আলিফ শেখ ও বাবুর্চি আবুল বাসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আরও জানান, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবুল লাল বৈদ্য বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইউনুস মুন্সী গত ৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ এপ্রিল বিকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ টার্মিনাল থেকে এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চ মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৬টা ১৫ মিনিটে লঞ্চটি শহরের কয়লাঘাট এলাকায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু অতিক্রম করার সময় পেছন থেকে এসকেএল-৩ কার্গো ধাক্কা দিয়ে লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেয়। এতে লঞ্চের কিছু যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ২ শিশু, ১৭ নারীসহ মোট ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর