গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ৪০ ঘণ্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বরামা সিংহশ্রী ব্রিজের নিচ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত যুবকের নাম মামুন (২৭)। তিনি উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের জেলে পাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
জানা যায়, গত রবিবার বিকেলে ইফতার কেনার জন্য বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশে রওনা হয় মামুন। তিনি একটি ডাকাতি মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি থাকায় পথে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক শাকিল আহমেদের সাথে তার দেখা হয়। এ সময় এএসআই তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ মামুনকে ধরার চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে বাঁচার জন্য পাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দেন।
কিন্তু সাঁতার কেটে নদী পার হওয়ার সময় মামুন মাঝ নদীতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ওইদিন রাতে শীতলক্ষ্যা নদীতে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন আবারও অভিযান চালিয়ে তার সন্ধান পাওয়া যায় না।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে বরামা ব্রিজ এলাকায় মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তার আত্মীয়দের খবর দেয়। পরে তারা মামুনের লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া জানান, মামুন ডাকাতি মামলার পলাতক আসামি। মামুনকে একই মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার করতে গিয়েছিল ওই এএসআই। রবিবার বিকেলে মামুনকে গ্রেফতারে পুনরায় অভিযান চালালে তিনি পুলিশকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যান।
মঙ্গলবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই